ঘূর্ণাবর্ত থেকে এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার সম্মেলনে প্রায় প্রত্যেকদিনই দুপুরবেলা পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল বজ্রবিদ্যুৎ সহ মেঘের সঞ্চার করছে এবং তা থেকে হালকা থাকে মাঝারি বৃষ্টিপাত লেগে আছে | গতকাল দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের রাঢ অঞ্চলে ও উপকূলীয় ভাগে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয় অন্যান্য দিনের মতোই তবে এই দিন মেঘ এক জায়গার উপরেই অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয় হাওড়া হুগলী উত্তর চব্বিশ পরগনা বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুর অঞ্চলে, এর মধ্যে বৃষ্টির প্রাবল্য সবচাইতে বেশি ছিল পূর্ব মেদিনীপুরে যেখানে তমলুকে ১৩২ মিলিমিটারের ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গেছিল | ঠিক কেন এইরকম পরিস্থিতি, কেনই বা এই বছরে পুজোর সময় অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা যদি আমরা দেখি তাহলে দেখা যাচ্ছে যে এই মুহূর্তে ভারতের একদিক থেকে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিচ্ছে অন্য দিক থেকে মৌসুমী বায়ু পূর্ব ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যার ফলে দুই বিপরীত ধর্মী বায়ুর মিলনে ভারতের পূর্ব উপকূল একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে যা ক্রমাগত দুপুরের দিকে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার ঘটাচ্ছে প্রত্যেকদিন যা যতদিন পর্যন্ত পূর্ব ভারতে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে এবং তার ফলে পুজোর সময় প্রায় বেশিরভাগ সময়ই পূর্ব ভারতের আকাশ দুপুরবেলা থেকে আংশিক মেঘলা এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চারের কারণে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলতেই থাকবে যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৃষ্টির স্থায়িত্ব এক থেকে দুই ঘন্টার বেশি হবে না | দশমীর দিন পিছুটা হলেও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে যদি উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বিস্তার আগের দিনের মতোই থাকবে | এই বৃষ্টি পুজোর আনন্দকে পণ্য না করলেও বাকি বছরের তুলনায় এই বছরে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় তা কিছুটা হলেও বিঘ্ন করবে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপূজাকে |
আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের সাথে জুড়ে থাকুন |
No comments:
Post a Comment