বর্ষার দিনগুলো ধীরে ধীরে পেরিয়ে শরতের আগমন ঘটছে দক্ষিণবঙ্গে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি এবং মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার পর মানুষ খুঁজছে কিছুটা স্বস্তির ছোঁয়া।আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব অনেকটাই কমতে চলেছে। ফলে আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে এবং শরতের সেই চিরচেনা নীল আকাশে ভেসে উঠবে তুলোর মতো সাদা মেঘ। প্রকৃতির এই পরিবর্তন যেন এক অনাবিল প্রশান্তি এনে দেবে শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই।
তবে পুরোপুরি বৃষ্টিবিহীন সময় এখনই আশা করা ঠিক নয়। বর্ষা থেকে শরতের রূপান্তরের এই সময়ে আবহাওয়া বেশ অস্থির থাকে। ফলে মাঝে মাঝে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। বিশেষত বিকেল থেকে রাতের দিকে বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা দেখা যেতে পারে। যদিও এই বৃষ্টিগুলো হবে স্বল্পস্থায়ী, তাই দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না। বরং বৃষ্টির ফোঁটার পর আকাশের রঙিন সাজ শরতের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে দেখা যায় এক অন্যরকম রূপ। সকালবেলায় মৃদু রোদ আর আকাশজুড়ে ভেসে চলা সাদা মেঘ যেন এক অনন্য আবহ তৈরি করে। উৎসবের মরসুমকে ঘিরে এই আবহাওয়া মানুষের মনে নতুন করে আনন্দের সঞ্চার ঘটায়। আকাশ প্রেমী মানুষদের জন্য একটি আদর্শ সময় হল এই সময়টি এই সময় আকাশের পেঁজা তুলোর মতন মেঘ যেন সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে।
তবে কৃষিজীবী মানুষের কাছে এই সময়টিও গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পর ক্ষেত খামারে জমে থাকা জল ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। আবহাওয়ার উন্নতির ফলে কৃষিকাজ আবারও সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষত ধান চাষের জন্য এই আবহাওয়া বেশ উপযোগী হতে চলেছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, দক্ষিণবঙ্গ এখন ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে শরতের সেই স্নিগ্ধ ও প্রশান্ত সময়ে। যদিও মাঝেমধ্যে বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে বৃষ্টি নামবে, তবুও সামগ্রিক আবহাওয়া থাকবে আনন্দঘন। পরিষ্কার আকাশ, ভেসে চলা শরতের মেঘ আর উৎসবের আবহ—এই মিলনই আগামী দিনের দক্ষিণবঙ্গকে করে তুলবে আরও সুন্দর।
No comments:
Post a Comment