উত্তর পশ্চিম ভারতে একের পর এক পশ্চিমীঝঞ্ঝা আসছে ও তার প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া
ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার প্রভাবে বারে বারে মাথাচাড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। এর প্রভাব কখনো কখনো পড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। ১৩ তারিখের আশেপাশে একটি পশ্চিমীঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। আবার নতুন করে ধেয়ে আসছে একটি পশ্চিমীঝঞ্ঝা। একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে উত্তর পশ্চিম ভারতে নতুন করে। এই ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ভারতে ১৫-১৮ তারিখের মধ্যে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ , মধ্যপ্রদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জন্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড সহ উত্তর পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাত ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে। উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা শীতল বাতাস ও পূবালী বাতাসের সংঘর্ষে বৃষ্টি হবে উত্তর পশ্চিম ভারতে। কারণ ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার প্রভাবে সমুদ্র থেকে ও পূর্ব দিক থেকে আদ্রবাতাস আসবে। এবং পশ্চিমীঝঞ্ঝাটি এগিয়ে এলে তার পিছনে উত্তর পশ্চিমা বাতাস এসে এক সম্মিলন অঞ্চল তৈরি হবে । একে কনফ্লুয়েন্স জোন বলা হয়।
তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই ১৮ তারিখ পর্যন্ত। সাধারণত পরিষ্কার থাকবে আকাশ। সকালের দিকে কুয়াশা বা হেজ কোথাও কোথাও হলেও হতে পারে। তবে সামগ্রিক ভাবে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। ১৬ থেকে ১৮ জানুুয়়ারীর মধ্যে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রার রেঞ্জ থাকবে ১৩-১৬° সে এর আশপাশে কলকাতায়। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা শীতল বাতাসেরগতিরোধ হয়ে যাওয়ায় আর নামতে পারবে না তাপমাত্রা সেইভাবে আগামী তিনদিন। এর পাশাপাশি বঙ্গোপোসাগরে তৈরি হবে একটি প্রতীপ ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে হাড়কাঁপানো ভয়ঙ্কর শীত আর আসবে না। তবে এমনটাও নয় যে শীত বিদায় নিচ্ছে ভারত থেকে। সিকিম ও সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে ১৭-১৯ তারিখের মধ্যে। তবে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘনকুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে।
পূর্বাভাস প্রদানকারী:অর্ঘ্য বটব্যাল
তারিখ: ১৫.১.২০.
সময়: দুপুর ১.৩০ মিনিট।
No comments:
Post a Comment