৫ই নভেম্বর ২০২৩
নিজস্ব সংবাদদাতা: এল নিনোর প্রভাবে কম শীত থাকবে এবারে অনেকেই বলছে। এল নিনোর প্রভাবে অস্বাভাবিক হারে নাকি বাড়বে তাপমাত্রা। কিন্তু বাস্তবটা হবে পুরো আলাদা। এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অন্যান্য বছরের তুলনায় বৃষ্টিহীন আবহাওয়া বিরাজ করে কিন্তু সেটা একটা ওভার অল ধারণা। সেটা সামগ্রিক ভাবে বিচার করা হয়ে থাকে কিন্তু সূক্ষাতিসূক্ষ প্যারামিটারস অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করে ও বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ২০২৩ সালে শীতের প্রকোপ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি থাকবে এবং কিছু কিছু সময় তা অস্বাভাবিক হতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে শীতের ক্ষেত্রে ডুয়েল রোল সৃষ্টি করে থাকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা শক্তিশালী অবস্থায় এলে প্রাথমিক ভাবে শীত কমিয়ে দিয়ে থাকে। উত্তর পশ্চিম ভারতে বৃষ্টি ও তুষারপাত দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যখন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন সিকিমে তুষারপাত ও উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে হালকা তুষারপাত ও বৃষ্টি ঘটিয়ে থাকে। ২০২৩ সালে শক্তিশালী এল নিনোর কারণে শক্তিশালী একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নেমে আসবে উত্তর পশ্চিম ভারতের উপর যা পশ্চিমা জেট বাতাসের প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ভারতের একের পর এক বড়ো ধরনের তুষারপাত ঘটিয়ে যাবে সেই সঙ্গে বৃষ্টি ঘটাবে উত্তর পশ্চিম ভারতে ও উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে। যারজন্য প্রাথমিক ভাবে কিছুটা পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়লেও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে গেলে হুড়মুড়িয়ে তাপমাত্রা নামবে এবং অস্বাভাবিক হারে তাপমাত্রা নামবে। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে ২০২৩ সালে তাপমাত্রা ভীষণভাবে ফ্লাকচুয়েট করবে যারজন্য কখনো শীতকালে গরম আবার কখনো অত্যধিক হারে ঠাণ্ডা দেখা যাবে। উল্লেখযোগ্য শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে। কলকাতার তাপমাত্রা কখনো ১৬ থেকে ১৯°সে চলে যাবে আবার কখনো ১০ থেকে ১৩°সে এর মধ্যে চলে আসবে। পুরুলিয়া বাঁকুড়া ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৯°সে এর আশেপাশে চলে যেতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও ভালো শীতের দাপট অনুভব হবে।
No comments:
Post a Comment