নিজস্ব সংবাদদাতা : এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরুতে গুলমার্গে বরফের চাদর নেই অথচ জানুয়ারি মাসের অর্ধেক কেটে গেলো !!
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৮৫০ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত গত বছরের ডিসেম্বর মাস সবচেয়ে বেশি উষ্ণতম কাটলো !!
যদিও কিছুটা দেরিতে হলেও শীত পড়েছে উত্তর ও পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ।
উত্তর ভারতের রাজ্য গুলোর সঙ্গে পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যেও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দেখা মিলেছে শৈত্যপ্রবাহ ও শীতল দিনের !!
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, এই তীব্র শীতের পিছনে মূল কারণ মেরুঘূর্ণির বিচ্যুতি !!
কিন্তু প্রধান সমস্যা একটাই যে , এই বার শীতে এখনো পর্যন্ত উত্তর ভারতের পাহাড়ী রাজ্য গুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ কম বরফপাত হয়েছে !! প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে স্বাভাবিক ভাবেই গড়ে ৮ বার বরফ পড়ে থাকে , কিন্তু পরিসংখ্যান বিচার করে দেখা যাচ্ছে যে এইবারের শীতে উত্তর ভারতের পাহাড়ে ক্রমহ্রাসমান হারে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ১ বার বরফ পড়েছে যা সত্যিই খুবই দুঃশ্চিন্তার কারণ !!
এই ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার পিছনে বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত রয়েছে তা পরিস্কার বোঝাই যাচ্ছে ।
যদিও এতো উদ্বেগের মাঝেও পর্যটকদের জন্য কিছুটা হলেও খুশির খবর আছে রে , আগামী ২৬ শে জানুয়ারি থেকে ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে উত্তর ভারতের জম্বু ও কাশ্মীর , হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের মতো পাহাড়ী রাজ্য গুলোতে অবশেষে মাঝারি থেকে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে !!
তবুও উদ্বেগের মূল কারণ উত্তর ভারতের পাহাড়ে যদি এই ভাবে প্রতি বছর শীতকালে বরফ পড়ার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে কমে আসে তাহলে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে সূর্যের তাপে হিমালয় পর্বতের অধিকাংশ হিমবাহ সম্পূর্ণ রূপে গলে যাবে এবং হিমালয় পর্বত থেকে উত্তর ভারতের সমতলে নেমে আসা গঙ্গা ও সিন্ধু নদীর মতো প্রধান নদী গুলোতে প্রথমে অসময়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা যাবে এবং পরবর্তী সময়ে এই নদী গুলো শুকিয়ে যাবে ! বর্ষাকাল ছাড়া শুখা মরসূমে ঐ নদী গুলোতে আর জল থাকবে না !!
এর ফলে উত্তর ভারতের পাহাড় থেকে বিস্তীর্ণ সমতল এলাকায় পানীয় ও চাষ যোগ্য জলের তীব্র আকাল শুরু হয়ে যাবে ! এর ফল ভূগতে হবে উত্তর ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য গুলোকেও , যা মোটেও কাম্য নয় !!
মনে রাখবেন জলের অপর নাম জীবন ।
তাই পরিশেষে আপনাদের সবার কাছে বিনীত অনুরোধ বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধ করতেই হবে , বাঁচাতে হবে প্রকৃতিতে !!
Date : 18/01/2024
No comments:
Post a Comment