নিজস্ব সংবাদদাতা: গত বছরে ডিসেম্বরে বাংলা সহ দেশের বড় অংশে তেমন ভাবে শীত পড়েনি! কিন্তু ২০২৪ সাল পড়ার পরেই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলা তথা পূর্ব ভারতে শীতের দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে! গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে শীতল হাওয়া দাপট এবং সঙ্গী হয়েছে ঘন কুয়াশা। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে গত দুই দিন আগে রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
হঠাৎ করে এই বৃষ্টির কারণ কি?
এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে পূর্ব ভারতের বায়ুমণ্ডলে একটি সম্মেলন অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে অর্থাৎ উত্তর অন্ধপ্রদেশ থেকে ছত্রিশগড় ও উড়িষ্যা হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি সম্মেলন অঞ্চল তৈরি হয়েছে বায়ুমন্ডলে এবং এই অঞ্চলে দুই বিপরীত ধর্মী বাতাস মিলিত হচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসছে শুষ্ক উত্তরে বাতাস এবং পূর্ব দিক থেকে আসছে আদ্র সামুদ্রিক বাতাস !
পূর্ব ভারতের উপকূলে সামুদ্রিক আর্দ্র বাতাস প্রবেশ করার অন্যতম কারণ উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট উচ্চচাপ বলয় !!
এবং বর্তমানে দেশের পূর্বপ্রান্তে এবং সন্নিহিত বঙ্গোপসাগরে বায়ুমন্ডলে এই বায়বীয় গোলযোগগুলি বিদ্যমান রয়েছে এবং এরই ফলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় উড়িষ্যা ছত্রিশগড় ঝাড়খন্ড ও সন্নিহিত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প প্রবেশ করায় মেঘপুজ্ঞ গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, তাই আগামী দুই দিন উড়িষ্যা ছত্রিশগড় , ঝাড়খন্ড ও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি এবং বিক্ষিপ্তভাবে ছিটেফোঁটা থেকে হালকা ধরনের বৃষ্টিপাত হবে !
এছাড়াও অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প বাতাসে থাকার দরুন এবং বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে উত্তরের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করায় পশ্চিমবাংলার বেশিরভাগ জেলাতে ঘন কুয়াশা সহ আর্দ্র ঠান্ডা অনুভব হবে !
আদ্র ও স্যাতসেতে ঠান্ডা পরিবেশে মানুষ সহ অন্যান্য পশুপাখিদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্দি কাশি জনিত সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
অপরদিকে কুয়াশা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কারণে কৃষি কাজে বিশেষত শীতকালীন সবজির যথেষ্ট ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Date : 20/01/2024
No comments:
Post a Comment