৬ই জানুয়ারি ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতা: মধ্য ভারতের সম্মিলন অঞ্চলের প্রভাবে থেকে যাওয়া জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার সকালে ঘনকুয়াশার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে। যার কারণে দৃশ্যমানতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের বেলায় ঘনকুয়াশা থাকাকালীন সময়ে বাড়বে শীতের আমেজ। তবে জাকিয়ে শীত ফিরে আসতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে যখন জাকিয়ে শীত আসবে শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে ঢুকতে পারে। উত্তর পশ্চিম ভারতের উপর একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হবার কারণে ৩-৪ দিন পর্যন্ত তেমন একটা শীত অনুভূত হতে পারবে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে তৈরি হয়া সম্মিলন অঞ্চলের প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ভারত ও মধ্য ভারতে ৮ ও ৯ই জানুয়ারি ২০২৪ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ১০ই জানুয়ারি ২০২৪ থেকে উত্তর পশ্চিম ভারতে অনেকটাই বাড়তে শুরু করবে শীতের দাপট। ১১ তারিখ থেকে পরবর্তী ৭ দিন সময়সীমার মধ্যে উত্তর পশ্চিম ভারত, মধ্যভারত, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড় রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ তৈরি হতে পারে। স্থল উচ্চচাপ ও পশ্চিমা জেট বাতাস সক্রিয় হবার জন্য। উত্তর পশ্চিম ভারতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে হিমাঙ্কের কাছাকাছি। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৬°সে এর আশেপাশে বা তার নীচে। অন্যদিকে ছত্তিশগড় ঝাড়খণ্ড ও বিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৪ থেকে ৬°সে এর আশেপাশে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ১০°সে বা তার নীচে। পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। হাওড়া কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২°সে বা তার নীচে নেমে যেতে পারে। কনকনে শীত অনুভূত হবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। মরশুমের শীতলতম সময় আসতে চলেছে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গজুড়েই আসন্ন সপ্তাহের শেষে।
No comments:
Post a Comment