৮ই জানুয়ারি ২০২৩ (রাত ১১.৩০ মিনিট)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিগত বেশ কিছুদিন পর ফের সমগ্র পশ্চিমবঙ্গজুড়েই বাড়তে চলেছে ঘনকুয়াশা। বর্ষশেষ ও ইংরেজি নববর্ষের সময় সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে ঘনকুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ার পর জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে উত্তরে বাতাসের প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই শীতের দাপট বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং কমতে থাকে ঘনকুয়াশার দাপট। যদিও তারপরও উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘনকুয়াশার দেখা মেলে। জানুয়ারি শুরুর পর আবার আগামী ৭২ ঘন্টায় ফের একবার ঘনকুয়াশা বাড়তে চলেছে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গেই। এর কারণ হিসেবে বলা যায় একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও সম্মিলন অঞ্চল মধ্যভারতে তৈরি হয়েছিল যা এখন দুর্বল হয়ে পড়লেও বাতাসে থেকে যাওয়া জলীয় বাষ্প উত্তরে বাতাসের শীতলতায় ঘনীভূত হয়ে ঘনকুয়াশার সম্ভাবনা তৈরি করছে। এছাড়াও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যেতে না যেতেই হাজির হয়েছে আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অক্ষরেখা আফগানিস্তান ও তৎসংলগ্ন পাকিস্তানের উপর যা আগামী ৭২ ঘন্টায় উত্তর পশ্চিম ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত তুষারপাত ঘটাবে। এর পাশাপাশি পশ্চিম মধ্য ভারতের উপর তৈরি হয়েছে একটি সম্মিলন অঞ্চল যার প্রভাবে আরবসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস প্রবেশ করছে পশ্চিম মধ্য ভারতের উপর। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টায় রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সিস্টেমের প্রভাবে আগামী ৭২ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ই জানুয়ারির আশেপাশে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বিছিন্ন ভাবে ছিটেফোঁটা বা হালকা অনিশ্চিত বৃষ্টি হলেও হতে পারে। হাওড়া, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হতে পারে। ঘনকুয়াশার কারণে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা শূন্য থেকে ৫০০ মিটারের আশেপাশে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘনকুয়াশার কারণে যানবাহনের গতি শ্লথ হতে পারে। রাস্তা পারাপার করতে অসুবিধা হতে পারে। সর্বপরি কৃষিক্ষেত্রে আগামী ৭২ ঘন্টার কুয়াশা ক্ষতিসাধন করতে পারে আদ্র আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে আলুর নাবি ধ্বসা সহ বিভিন্ন শাকসবজি ও ফসলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে। ঘনকুয়াশা থাকাকালীন সময়ে দিনের বেলায় বেশ ঠাণ্ডা অনুভব হবে। ঘনকুয়াশা থাকাকালীন সময়ে সাবধানে রাস্তা পারাপার করুন এবং যান চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
No comments:
Post a Comment