আবহাওয়া নিয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন ও জুড়ে থাকুন সর্বদা আমাদের সাথে |
নিজস্ব সংবাদদাতা - ঘূর্ণিঝড় দানা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশা ধামরাতে আছড়ে পড়ার পরে সবার মানে একটাই আশা ছিল যে এবার হয়তো রাজ্যে কোন রকম ঝড়ের প্রভাব পড়বে না যখন ঝড়ের আছে পড়ার আগে অবধি কিছু হলো না | কিন্তু বাস্তবে হল তার উল্টোটাই, ঘূর্ণিঝড় দানার আউটার ব্যান্ডের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশের প্রায় সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত হল যা হয়েছিল গতকাল উড়িষ্যাতেও, রাজ্যে ঝড়ের পক্ষে কিছুটা কম হলে উড়িষ্যার থেকে বৃষ্টিপাতের দিক থেকে কোনরকম ভাবেই ক্ষতিকর প্রভাব কম হলো না | সবচাইতে বেশি বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গেছিল পূর্ব মেদিনীপুরে যেখানে পাঁশকুড়াতে প্রায় ২৪০ মিলিমিটারে চরম ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায় এরপরেই এগিয়ে তমলুক যেখানে ২১৬ মিলিমিটারের চরম ভারী বর্ষণ লক্ষ্য করা যায় | মহানগরী কলকাতাতেও প্রায় ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটারের পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায় অধিকাংশ জায়গাতেই, দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে প্রায় ২০৩ মিলিমিটারের অতি ভারী বৃষ্টিপাত রক্ষা করা যা রাজ্যের তৃতীয় স্থান অধিকার করে গতকাল বৃষ্টিপাতের দিক থেকে | এছাড়া রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই বিক্ষিপ্তভাবে ভারতে গতি ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায় একমাত্র পশ্চিম দিকে পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা বাদে যেখানে প্রধানত হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে | উত্তরবঙ্গের গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি ছিল | এই বাড়ী থেকে চরমভাবে বৃষ্টিপাতের ফলে জমে থাকা জলে মারা যায় রাজ্যের চারজন যার মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু ঘটে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় কলকাতা হাওড়া এবং দক্ষিণ 24 পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে | এছাড়াও বাংলাদেশের বরগুনাতে ও ঝড়ের প্রভাবে প্রানহানি হয় একজনের | আশ্চর্যজনকভাবে উড়িষ্যাতে কোনরকম প্রাণহানি হয়নি যদিও উড়িষ্যার পারাদ্বীপ থেকে ভদ্রক পর্যন্ত অঞ্চলে ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে হাওয়ার সাথে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হওয়া প্রবাহিত হয় | এর মূল কারণ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় আঘাতনার সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ছোট হয়ে যাওয়াকে মনে করা হচ্ছে | এটি একই জায়গার উপরে বর্তমানে একটি নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে এবং আজকের মধ্যে এটি বিলীন হয়ে যেতে পারে উপকূলীয় উড়িষ্যাতে যার প্রভাবে কালীপুজোতে বাংলা আকাশ প্রায় মেঘ মুক্তই থাকবে |
No comments:
Post a Comment