নমস্কার আপনাদের সকলকে ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এ স্বাগত জানাই...
১৫ই জুলাই সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, আর মধ্যরাত থেকেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা ও পূবালী বাতাসের সক্রিয়তার কারণে উত্তরবঙ্গে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে আগামী ২৪ ঘণ্টায়।
আজ সকাল থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ি অঞ্চলে ঘন কুয়াশার মধ্যে একটানা বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। ফলে পর্যটকদের মধ্যে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তবে অনেক পর্যটক বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের রোমাঞ্চ উপভোগ করছেন। সিকিম ও দার্জিলিংয়ের সংযোগকারী রাস্তায় মাঝে মাঝে ধস নামার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে রাত থেকে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে, আজ সকালে কিছু অঞ্চলে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হচ্চে। চা বাগান অঞ্চলে এই বৃষ্টি ফসলের জন্য উপকারী হলেও, কোথাও কোথাও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।
আজ উত্তরবঙ্গে ৬০-১০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে, বিশেষত তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা নদীর জলস্তর নজরে রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছে এবং প্রয়োজনে স্থানান্তরের জন্য ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই বর্ষণ উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক রূপকে আরও সতেজ ও সবুজ করে তুলেছে। তবে লাগাতার ভারী বৃষ্টি হলে বন্যার সম্ভাবনা এবং ধসের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই উত্তরবঙ্গে যারা ভ্রমণে যাচ্ছেন, তাদের আবহাওয়ার আপডেট দেখে যাত্রার পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, বর্ষার সময় উত্তরবঙ্গে এমন বৃষ্টি স্বাভাবিক হলেও চলমান পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বৃষ্টির পরিমাণের আপডেট পেতে আমাদের ওয়েদার অফ ওয়েস্টবেঙ্গল পেজে নজর রাখুন।
No comments:
Post a Comment