৫ই আগস্ট, ২০২৫ মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি জেলা উত্তরকাশীতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক বিপর্যয়। ভোররাতে আচমকা প্রবল মেঘ ফাটার (Cloudburst) ঘটনা ঘটে উত্তরকাশীর একাধিক গ্রামে। বিশেষ করে গঙ্গোত্রী উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এর প্রভাব সবচেয়ে ভয়াবহ। প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট হড়পা বানের জেরে নদী উপচে পড়ে গ্রামগুলিতে প্রবেশ করে এবং মুহূর্তের মধ্যে গ্রাস করে বহু ঘরবাড়ি, সড়ক ও কৃষিজমি। নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ৭০ জন বা তার একাধিক এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে গঙ্গোত্রী ধরালিগ্রাম অঞ্চল। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে বহু কাঁচা ও পাকা ঘরবাড়ি। স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাৎ করে প্রবল শব্দ ও জলোচ্ছ্বাসে চারপাশের পরিবেশ তছনছ হয়ে যায়। কিছু বোঝার আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা জনপদ। বহু পর্যটক এই পরিস্থিতি শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের খোঁজ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এই দুর্যোগের পেছনে প্রধান কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও মৌসুমী অক্ষরেখার সংযোগের ফলে উত্তরাখণ্ডে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প জমা হয়েছিল, যা মেঘ ফাটার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও, পাহাড়ি ঢালের অস্থির ভৌগোলিক গঠন এবং বৃষ্টিপাতের চাপ একসাথে এই বিপর্যয়ের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
উত্তরকাশীর এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আবারও স্মরণ করিয়ে দিল পাহাড়ি অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য এমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরো পরিকল্পিত ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২৫ সালের উত্তরাখণ্ডের এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি আমাদের আবারো শিক্ষা দিয়ে গেল প্রকৃতির কাছে আমরা সকলেই শিশু। অতএব আমাদের আরো সচেতন হওয়ার প্রয়োজন বিশেষ করে পার্বত্য অধ্যুষিত এলাকা গুলিকে আরো সংরক্ষিত এবং সুগঠিত গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশ উন্নয়নের মধ্যে সঠিক সমন্বয়ই একমাত্র ভবিষ্যতে দেবভূমিকে কে নিরাপদ রাখতে পারে ।
আবহাওয়া সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন আমাদের ওয়েদার ওয়েস্ট বেঙ্গল ফেসবুক পেজটিতে।
নমস্কার 🙏

No comments:
Post a Comment