Weather of west bengal
নিজস্ব সংবাদদাতা: দূরত্ব মাত্র ৫৬ কিলোমিটার দুটি আবহাওয়া স্টেশনের মধ্যে আর তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ১০ কিলোমিটারে প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দুটি স্টেশনের একটি হলো নদীয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী শহর কল্যানী এবং অন্যটি হলো খাস কলকাতা লাগোয়া সল্টলেক। ২৭শে নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সল্টলেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮°সেলসিয়াসের আশেপাশে। সেখানে নদীয়া জেলার কল্যানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩°সেলসিয়াসের আশেপাশে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলো এবং খোদ কলকাতার মধ্যে তাপমাত্রার তারতম্য ঠিক কতটা। এর পিছনে বড়ো কারণ হচ্ছে শিল্পায়ন ও নগরায়ন। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ খোদ শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত না হলেও সেক্টর ফাইভকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে নতুন CBD অঞ্চল। নতুন নতুন অফিস, জলাভূমি বুজিয়ে ফ্ল্যাট, মাত্রাতিরিক্ত বৃক্ষচ্ছেদনের কারণে ও নতুন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি তেমন বাস্তবায়িত না হওয়ায় কারণে এবং শিল্প কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন বাতাসে মেসার দরুন বাতাসের তাপ বিকিরণ না হয়ে শোষিত হচ্ছে। এবং শীতের দাপট দিনের পর দিন কমে আসছে কলকাতা জুড়ে। অন্যদিকে কল্যানী ও সল্টলেকের তাপমাত্রা বিচারের সঙ্গে সঙ্গে উলুবেড়িয়া ও আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিচার করলে দেখা যাচ্ছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে। এথেকে বোঝা যাচ্ছে কলকাতা এখন যদি না পরিকল্পিত সুস্থায়ী নগর পরিকল্পনা না করে তবে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে কল্যানী ও উলুবেড়িয়া কলকাতার তাপমাত্রার রেঞ্জে চলে যাবে আর কলকাতায় শীতকালের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে।

No comments:
Post a Comment