ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় স্পষ্টভাবেই শীতের প্রভাব বাড়ছে। উত্তরের হাওয়ার দাপটে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাপমাত্রা ক্রমশ কমতির দিকে। পাহাড় থেকে সমতল—সব জায়গাতেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে পর্যটন ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলছে।
প্রথমেই যদি উত্তরবঙ্গের দিকে নজর দেওয়া যায়, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় শীতের দাপট বেশ জোরালো। সকালের দিকে কুয়াশা ও মেঘের আনাগোনা থাকলেও দিনের বেলায় আকাশ বেশিরভাগ সময় পরিষ্কার থাকবে। রাতের তাপমাত্রা ৫–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে, ফলে শীত আরও অনুভূত হবে। দার্জিলিং ও সংলগ্ন উঁচু এলাকায় শীতল বাতাসের সঙ্গে হালকা ঠান্ডা বাড়বে, যা পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।
উত্তরবঙ্গের সমতল জেলা যেমন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে রাত ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সকালের সময় যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে। দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও সূর্যাস্তের পর থেকেই ঠান্ডা বাড়বে। বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম, ফলে শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে শীতের অনুভূতি ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে বসছে। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ভোর ও রাতের দিকে ঠান্ডা অনুভূত হলেও দিনের বেলায় রোদ থাকায় আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২–১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকবে, তবে ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে।
উপকূলবর্তী জেলা যেমন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সমুদ্রের প্রভাবে ঠান্ডা কিছুটা কম হলেও উত্তরের হাওয়ার কারণে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। সমুদ্র শান্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে পর্যটকদের জন্য সৈকত ভ্রমণের অনুকূল সময়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন শীতল ও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। শীতের এই মনোরম আবহাওয়া ভ্রমণ ও বাইরে ঘোরার জন্য আদর্শ হলেও সকাল ও রাতের ঠান্ডা থেকে বাঁচতে গরম পোশাক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

No comments:
Post a Comment