❄️শীতের চাদরে মোড়া বাংলা: উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আগামী তিন দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি❄️
শীতের পূর্ণ আমেজে ঢেকে গিয়েছে বাংলা। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল—সবখানেই ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রা। সকালের কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া আর রাতের কনকনে ঠান্ডা শীতপ্রেমীদের আনন্দ বাড়ালেও কৃষক ও নিত্যযাত্রীদের জন্য বাড়াচ্ছে সতর্কতার প্রয়োজন। চলুন দেখে নেওয়া যাক আগামী তিন দিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তারিত আবহাওয়া পরিস্থিতি।
উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট আরও স্পষ্ট। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের পার্বত্য ও তরাই অঞ্চলে আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা আরও ২–৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। ভোরের দিকে ঘন থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যাবে, যার ফলে পাহাড়ি রাস্তায় যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। দিনের বেলায় আকাশ পরিষ্কার থাকলেও উত্তরে শুষ্ক ঠান্ডা হাওয়া বইবে। রাতের দিকে শীতের অনুভূতি হবে বেশি, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের উষ্ণ পোশাক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গেও শীতের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়ছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী তিন দিনে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে। তাপমাত্রা সামান্য কমে রাতের দিকে ১১–১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নামতে পারে। দিনের বেলায় রোদ থাকলেও বাতাসে থাকবে শীতল ভাব। শহরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা তুলনামূলক কম হলেও গ্রামীণ এলাকায় ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হবে।
পশ্চিমাঞ্চল তথা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় শীতের প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হবে। এখানে ভোরের দিকে কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে শুষ্ক হাওয়া বইবে। তাপমাত্রা আগামী তিন দিনে আরও কিছুটা নামতে পারে, ফলে রাতের বেলা কনকনে ঠান্ডা থাকবে। কৃষকদের জন্য ফসল রক্ষায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে আলু ও সবজি চাষে।
উপকূলীয় দক্ষিণবঙ্গে যেমন দীঘা, মন্দারমণি ও সুন্দরবনে শীত তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকলেও সকালের দিকে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস পর্যটকদের প্রভাবিত করতে পারে। সমুদ্রের ধারে সন্ধ্যা ও রাতের সময় ঠান্ডা হাওয়া বাড়বে, তাই পর্যটকদের উষ্ণ পোশাক সঙ্গে রাখা জরুরি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, আগামী তিন দিন বাংলা জুড়ে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তবে কুয়াশা ও তাপমাত্রা হ্রাস দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। শীত উপভোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও যাতায়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলাই এখন সবচেয়ে জরুরি।

No comments:
Post a Comment