এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। বর্তমানের রাজ্যজুড়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা জমিয়ে দিচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্ত। গত চার দিন যাবত রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক নিচে ঘোরাফেরা করছে। আর এমন অবস্থায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানানো হচ্ছে। যার ফলে তাপমাত্রা আরও নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত কয়েকদিন যাবত কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রা 12 ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং 11 ডিগ্রী সেলসিয়াস এর আশপাশে ছিল। এমন অবস্থায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাগুলিতে এবং কলকাতাতেও।
ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে উড়িষ্যা উপকূলবর্তী অঞ্চলের কাছাকাছি বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তরের একটি উচ্চচাপ তৈরি হতে পারে। বায়ুমণ্ডলের এই বায়ুপ্রবাহের সামরিক পরিবর্তনের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড হয়ে ছোটনাগপুর অঞ্চলে।
এর ফলে, শীতল ও শুষ্ক উত্তরে বাতাসের সাথে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ এবং আর্দ্র দখিনা বাতাসের সংঘর্ষে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাগুলির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ এর সঞ্চার হতে পারে।
এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাগুলিতে আগামী 26 শে ডিসেম্বর এবং 27 শে ডিসেম্বর আকাশ প্রধানত মেঘলা থাকতে পারে, তার সাথে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি সাথে হালকা থেকে মাঝারি এবং বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর তরফ থেকে শিলাবৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হচ্ছে। আর এই অসময় শিলা বৃষ্টির কারণে চাষাবাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে ওই দুই দিন।
এছাড়া বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ;
পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ 24 পরগনার বেশ কিছু অঞ্চলে।
কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আকাশ প্রধানত মেঘলা থাকবে আগামী 26 শে ডিসেম্বর এবং 27 শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারি সাথে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আকাশ মেঘলা থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথেষ্ট কমে ১৮° সেলসিয়াস এর আশপাশে চলে যাবে এর ফলে দিনের বেলা কনকনে শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে সেই সময়ে।
২৭ শে ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করবে এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তবে এই ঝড় বৃষ্টির ফলে ২৮ শে ডিসেম্বর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে আরো কমতে থাকবে।
সেক্ষেত্রে জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে 5 ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় অধিকাংশ জেলাগুলিতে আরো জাঁকিয়ে বসেছে শীত এবং শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী 28 শে ডিসেম্বর থেকে 11 ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে বছরের শেষ দিন গুলিতে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা থাকছে।
By Senior Meteorologist
P.Ghosh
Update: 09:00 PM IST
22/12/2019
No comments:
Post a Comment