ভয়ঙ্কর দাবানলে জ্বলছে অষ্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড সহ নানা অঞ্চল। তার মাঝেই ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় ব্লেক (BLAKE)। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি ঘন্টায় ৭৫-৮৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে। উত্তর পশ্চিম অষ্ট্রেলিয়াতে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলছে। ববিয়েডিং , ব্রুম , ডার্বি সহ নানা জায়গায় বয়ে যেতে পারে ৬৫-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলতে পারে ২৪-৩৬ ঘন্টায়। অন্যদিকে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে অষ্ট্রেলিয়ার উত্তর দিকে। গালিউইনঙ্কু ও নুলুনবাই থেকে উত্তর পূর্ব দিকে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ যা আগামী ৪৮ -৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে ৮-১০ তারিখের মধ্যে অষ্ট্রেলিয়ার উত্তর দিকে উপকূলভাগ অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাস তৈরি হয়েছে অষ্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলীয় এলাকায়। দাবানলে বিধ্বস্ত অষ্ট্রেলিয়ার সামনে এবার নতুন বিপদ ঘূর্ণিঝড়। অষ্ট্রেলিয়ার এক প্রান্তে প্রবল গরম ও চরমতা সাথে বিধ্বংসী দাবানল। ঠিক অপর দিকে তখন চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় , অতি ভারী বৃষ্টি, হড়পা বান ও জলচ্ছাসের মতো বিপদ।
প্রাকৃতিক রোষের কবলে অষ্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এক প্রান্তে দাবানলের তাণ্ডব ও অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়। তাই অষ্ট্রেলিয়ার এই ঘটনা দেখে আমাদের হতে হবে সচেতন। নাহলে গোটা বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর চরমতা ছড়িয়ে আরো পড়বে। তৈরি হবে আরো দুর্যোগ । ধ্বংস হবে অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্য । তৈরি হবে জীবনের সংকট। অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি পরিবেশের দিকটিও ভাবা দরকার একথাই চারদিক থেকে দুর্যোগে ঘিরে ধরা অষ্ট্রেলিয়া সহ নানা দেশের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়া উচিৎ। নাহলে আমাদেরো চলে যেতে হবে অকাল ধ্বংসের দিকে।
লেখা : অর্ঘ্য বটব্যাল
তারিখ : ৬.১.২০
No comments:
Post a Comment