নিজস্ব সংবাদদাতা প্রচন্ড জ্বালাময় ভ্যাপসা গুমোট গরমে কিছু বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে আগামী পাঁচ দিন কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গবাসীকে তবে যে সমস্ত জায়গায় বৃষ্টি হবে সেখানে ভীষণ বজ্রপাত থাকবে তবে এই বৃষ্টি কোনোভাবেই গরমকে কমাবে না উল্টে জ্বালাময় ভ্যাপসা গুমোট গরম বাড়বে, কলকাতা হাওড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে খুব জ্বালাময় ঘর্মাক্ত ও অস্বস্তিকর গরম। অনুভব হবে ১৪ই জুন থেকে ১৭ই জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে এ মরশুমের সবচেয়ে কষ্টকর গরম পড়তে চলেছে যা ভীষণ ঘর্মাক্ত ও এক জ্বালাময় গরম। সাধারণত কলকাতা হাওড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ১২ থেকে ১৫ই জুনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করে কিন্তু ২০২৪ সালে এখনো পর্যন্ত বর্ষা প্রবেশ করেনি হাওড়া কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এবং দুঃখের কথা আগামী ১৫ই জুনের মধ্যেও বর্ষা ঢুকবে না। কলকাতা, হাওড়া ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। এমনকি আগামী পাঁচদিনেও কলকাতা হাওড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বর্ষা প্রবেশ করবে না। তাহলে কবে বর্ষা প্রবেশ করবে এখনো পর্যন্ত বর্ষা প্রবেশের বা বর্ষাকে সক্রিয় করার অনুকূল সিস্টেম কিছুই তৈরি হয়নি একটি উত্তরবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বিহারের ওপর সার্কুলেশন অবস্থান করছে এবং উত্তর প্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। এই দুটো সিস্টেম পুরোটাই সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আদ্র বাতাস টেনে নিচ্ছে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে যার জন্য উত্তরবঙ্গ সিকিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী পাঁচ দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে তবে দক্ষিণবঙ্গে স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হয়ে বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে এবং তাছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই হবে না আগামী পাঁচ দিনে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ চলবে সেখানে চল্লিশ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে অন্যদিকে কলকাতা হাওড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে 36 থেকে 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে তবে ভীষণ আপেক্ষিক আদ্রতা থাকায় অস্বস্তি সূচক মাত্রা ছাড়া থাকবে এ মরশুমের সবচেয়ে জ্বালাময় ও ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে আগামী পাঁচ দিন। পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় দুপুরের দিকে ভীষণ গরম অনুভব হবে। মোটের উপর বলা যায় বিক্ষিপ্তভাবে ইতস্তত বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হলেও কলকাতা হাওড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দিবারাত্র ঘর্মাক্ত গরম অনুভব হবে বর্ষা প্রবেশ করতে দেরি আছে এবং পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন কলকাতা হাওড়া ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কেন বর্ষা প্রবেশ করতে পারছে না তার কারণ হলো উল্লেখযোগ্য বর্ষা আসার বা বর্ষাকে সক্রিয় করার মত সিস্টেম নেই এবং মধ্য ভারতের ওপর একটি উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে যার কারণে পশ্চিমা বাতাস ভালোই প্রবেশ করছে দক্ষিণবঙ্গে এবং বর্ষা আসার জন্য যে পূবালী বাতাসের প্রয়োজন তা ঢুকতে দিচ্ছে না সারফেস লেভেলে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকলেও আপার লেভেলে ওই উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে শুষ্ক পশ্চিমা বাতাস দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করায় বৃষ্টিবাহী মেঘ বা বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হলেও তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যার জন্য বিক্ষিপ্ত বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বৃষ্টি হলেও বর্ষা আসার জন্য ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করার মত একটানা বৃষ্টি বা পর পর একই জায়গায় তিন মিলিমিটারের বেশি, বৃষ্টি হচ্ছে না। কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে আবার কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে না অন্যদিকে এই শুষ্ক পশ্চিমা বাতাস আউটগোয়িং লং ওয়েব রেডিয়েশন কে বাড়িয়ে রেখেছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যার জন্য সামগ্রিকভাবে বর্ষা আসতে দেরি আছে তার আগে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম ভোগ করবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গবাসী। অন্যদিকে পুরুলিয়া বাঁকুড়া পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম এই সমস্ত জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।
Weather of West Bengal
13/6/2024 (10.30 Pm)
No comments:
Post a Comment