পূর্বাভাস মতোই বাংলাদেশের উপর থেকে ঘূর্ণাবর্তার কারনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং পার্বত্য অঞ্চল। যার ফলে দার্জিলিংয়ে দশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ২রা অক্টোবর মহালয়ার দিন | সেদিন সারা দিনে দার্জিলিং প্রায় ১৭৫ মিলিমিটারের
অতি ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায় ,এর আগে এমন বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল একমাত্র ২০২১ সালে গত ১০ বছরের মধ্যে যখন দার্জিলিঙে ২৪২ মিলিমিটারের চরম ভারি বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গেছিল | অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয় দার্জিলিংয়ের বিজন বাড়িতেও |এই রেকর্ড বৃষ্টিপাত ধস নামায় দার্জিলিং ও কালিম্পং পার্বত্য অঞ্চলের অন্তত শখানেক এলাকাতে | এই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধস নামে দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি, রক গার্ডেন, চমকডাঙি, দার্জিলিং-সিংথাম এবং দার্জিলিং - শিলিগুড়ি সড়কের জোড়বাংলো অঞ্চলে | ধস নামে কালিম্পং এর চিত্রে তেও | এছাড়াও আরো ছোট বড় বিভিন্ন রকমের ধস দার্জিলিং কালিম্পং পর্বত অঞ্চলে নামে | সুখিয়াপোখরিতে ধসের কবলে পড়ে প্রাণ যায় এক বৃদ্ধের | ঘূর্ণাবর্তটি আজকে উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর ও মালদার উপর অবস্থান করার ফলে আজও সমগ্র উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যেতে পারে | এছাড়াও ঘূর্ণাবর্তটির প্রভাবে সক্রিয় পূবালী বায়ুর জন্য আলিপুরদুয়ার কোচবিহারের আসাম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যেতে পারে | পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিপাত কিছুটা হলেও চিন্তার মুখে ফেলেছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন হোটেলের পর্যটক এবং পর্যটনের সাথে জড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ীদের | পূজার মুখে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমলেও দার্জিলিং এবং সংলগ্ন তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে যা খুব একটা মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি করবে না পুজোর সময় উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াকে
আবহাওয়া সংক্রান্ত এরকম আরো বিস্তারিত তথ্য আগে থেকে জানতে এবং এরকম দুর্যোগের খবর আগে থেকে জানতে জুড়ে থাকুন আমাদের সাথে |
No comments:
Post a Comment