❄️ উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ, হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢাকছে সকাল—পর্যটকদের জন্য বিশেষ আবহাওয়া আপডেট ❄️
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ—দুই বঙ্গেই এখন শীতের স্পষ্ট ছোঁয়া। উত্তরের হাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রা ক্রমশ নামছে, আর ভোর ও সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা আবহাওয়াকে করে তুলছে আরও শীতল ও মনোরম। শহর থেকে পাহাড়, সমতল থেকে উপকূল—সব জায়গাতেই শীতের আবেশ অনুভূত হচ্ছে, যা পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।
উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় সকালের দিকে কুয়াশার দাপট বেশি দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের সময় দৃশ্যমানতা কিছুটা কম থাকলেও দিনের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে। তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় গরম পোশাক অপরিহার্য। শীতের এই আবহাওয়ায় চা-বাগান ঘেরা পাহাড়ি দৃশ্য পর্যটকদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা এনে দিচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও ভোরে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকালে রাস্তায় বেরোলে ঠান্ডার অনুভূতি স্পষ্ট, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিলছে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকলেও রাতের দিকে শীতের আমেজ বাড়ছে। শহরবাসীর পাশাপাশি পর্যটকদেরও সকালে ও রাতে হালকা শীতের প্রস্তুতি নিয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপকূলীয় দক্ষিণবঙ্গ—দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুর এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক ও আরামদায়ক। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও সমুদ্রের ধারে ঠান্ডা বাতাস শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে তুলছে। সমুদ্র ভ্রমণের জন্য এই সময়টি বেশ উপযোগী, তবে ভোরবেলা ও সন্ধ্যায় হালকা জ্যাকেট বা সোয়েটার সঙ্গে রাখাই ভালো।
পর্যটকদের জন্য আবহাওয়া আপডেট হিসেবে বলা যায়, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি বা বড় কোনো দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। কুয়াশার কারণে সকালে যাতায়াতের সময় সতর্ক থাকা জরুরি, বিশেষ করে পাহাড়ি ও হাইওয়ে রুটে। শীতের এই মনোরম পরিবেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে আবহাওয়া-ভিত্তিক প্রস্তুতি নিলে ভ্রমণ হবে আরও নিরাপদ ও উপভোগ্য।
সব মিলিয়ে, উত্তর সহ দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ এখন জমে উঠেছে। কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া আর নরম রোদ—এই ত্রয়ীর মেলবন্ধন শীতপ্রেমী ও পর্যটকদের জন্য এনে দিয়েছে আদর্শ ভ্রমণকাল।

No comments:
Post a Comment