পূর্বাভাস মতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আন্দামান সাগর ও তত্সংলগ্ন অঞ্চলের উপর নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কাই এখন সত্যি হলো। গত প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে শক্তি বৃদ্ধি করে সে বর্তমানে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আর রাত পোহালেই অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড় "বুলবুল" এ পরিণত হবে। অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে পরিণত হবার পর সেখানেই সে থেমে থাকবে না। সে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে এগোতে থাকবে উত্তর উত্তর পশ্চিমের দিকে। এবং ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে সে আগামী দু'দিনের মধ্যে শক্তি বৃদ্ধি করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর তরফ থেকে বর্তমান আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানানো হচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এমনই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ক্রমশ এগিয়ে আসবে উত্তর উড়িষ্যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে।
সমস্ত রকম বায়ুপ্রবাহ এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত অনুকূল রয়েছে। যদি সমস্ত রকম আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে এবং একই রকম থাকে তাহলে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল শক্তি বৃদ্ধি করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত করতে পারে।
এর ফলে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল সহ এবং কলকাতায় বাড়ি থেকে অতি ভারী প্রবল বর্ষণের সাথে প্রবল ঝড় এবং দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি এবং আকার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে সুন্দরবনের মধ্যবর্তী যেকোন উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সবথেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে সুন্দরবনের মধ্যবর্তী যেকোন অংশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রবেশ করতে পারে স্থলভাগে।
এর ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর কলকাতা, হাওড়া বিভিন্ন অংশে ভারী থেকে অতি প্রবল ভারী মাত্রায় বৃষ্টির সাথে প্রবল ঝড় এবং দুর্যোগ চলার আশঙ্কা রয়েছে।
সপ্তাহের শেষ থাকি আবহাওয়া পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের এবং উত্তর উড়িষ্যা, এবং পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সে ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও কমবেশি ভালোরকম বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হওয়া।
ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐ সমস্ত অংশে আঘাত করলে, কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অধিকাংশ জেলাগুলিতে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।
তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কোনরকম দুর্যোগের আশঙ্কা থাকবে না।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের প্রবেশ করার সাথে সাথে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে, এবং ক্রমশইবাংলাদেশের দিকে সরে যাবে তার ফলে বাংলাদেশ সহ সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে দুর্যোগের আশঙ্কা তখন থেকে যাচ্ছে।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আঘাত করার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে এবং ২৪ ঘন্টা পর পর্যন্ত কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে এবং ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর তরফ থেকে উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের এখনই সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পর্যটকদের ৮ ই নভেম্বরের মধ্যে, ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
🔴 ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ঘূর্ণিঝড়ের সমস্ত গতিবিধির ওপর সর্বদা নজর রেখে চলেছে।
যেকোনো রকম আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজ এ সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল কে।
🔴 খবর শেয়ার করে সকলকে জানতে সাহায্য করুন বিপদ মুক্ত থাকুন, বিপদ মুক্ত রাখুন।
By P.Ghosh
Update: 10:00 PM IST
05/11/2019
No comments:
Post a Comment