( চিত্র : অর্ঘ্য বটব্যাল, আমতা , হাওড়া )
উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে ক্রমশই বাড়ছে তাপমাত্রা। ঢুকছে মেঘ। কোথাও কোথাও কুয়াশা হচ্ছে। ফলে শীতের হাওয়া আপাতত আটকে রয়েছে। এবার আবার ধেয়ে আসছে এবছরের সবথেকে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী পশ্চিমীঝঞ্ঝা। ১০/১১ তারিখ নাগাদ উত্তর পশ্চিম ভারতে হানা দিতে পারে। এর ফলে ভারী থেকে অতিভারী তুষারপাত হতে পারে উত্তর পশ্চিম ভারতে। ১০-১৪ তারিখের মধ্যে উত্তর পশ্চিম ও মধ্য ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি বা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দফায় দফায়। ১৪-১৭ তারিখের মধ্যে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদীয়া জেলায় মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি অঞ্চলে আকাশ আংশিক থেকে প্রধানত মেঘলা থাকতে পারে। কারণ ওই সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত সাইক্লোন হতে পারে। যা জলীয় বাতাসকে ঠেলে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকিয়ে দেবে। এছাড়া একটি অক্ষরেখা থাকতে পারে। তাই বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বা দু এক দফা হতেই পারে। এছাড়া সকালের দিকে কুয়াশা হতেও পারে কোনো কোনো স্থানে।
পাকাপোক্ত ভাবে শীত আসতে এখনও দেরী আছে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জাকিয়ে শীত পড়তে পারে। আপাতত ৪৮ ঘন্টায় কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা নেই। বরং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে আরো।
বাতাসের আর্দ্রতা একটু বেশি থাকবে। কুয়াশা হতে পারে। অন্যদিকে আরবসাগরের ঘূর্ণিঝড় পবন সোমালিয়া উপকুল অতিক্রম করে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দ পূ আরবসাগরে সুষ্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থান করছে।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ১৩-১৭ তারিখের মধ্যে আরবসাগরে একটি সিস্টেম তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস প্রদানকারী: অর্ঘ্য বটব্যাল
সময়: ৩.৩০ বিকাল।
তারিখ: ৬.১২.১৯
No comments:
Post a Comment