তবে বলয়গ্রাস হওয়ার কারণ কি ?
প্রথমত পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার এবং তার যেকোনো একটি ফোকাসে, সূর্য অবস্থান করে।ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বিভিন্ন হয়।
শীতকালে ৩ রা জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বনিম্ন হয়, এই অবস্থানকেই অনুসুর অবস্থান বলা হয়। এর কারনেই সূর্যকে বড় দেখায় এবং চৌঠা জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বাধিক হয়। একই অপসুর অবস্থান বলা হয়।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এখন প্রায় সর্বনিম্ন হয় সূর্যকে পৃথিবী থেকে অনেক বড় দেখায় এবং চাঁদের অবস্থান পৃথিবী থেকে বছরে ভিন্ন সময় প্রায় একই সম আকৃতির মনে হয়।
ফলে বছরের এই সময় সূর্যগ্রহণ হলে চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে ফেলতে পারেনা সূর্য গ্রহনের সময় চাঁদ এবং সূর্য যখন সরলরেখায় অবস্থান করে, তখন চাঁদের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে সূর্যকে অনেকটা বলয় আকারে দেখায়। তাই এই প্রকার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ সৃষ্টি হয়।
( সৌজন্যে: পদার্থবিদ রাহুল রায় )
শুধুমাত্র ভারতবর্ষের নয় এই গ্রহণ দেখা যাবে সমগ্র এশিয়ার অধিকাংশ দেশগুলি থেকে।
সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে এশিয়া মহাদেশে আরব, পাকিস্তান আফগানিস্তান ভারত নেপাল ভুটান শ্রীলংকা মায়ানমার সুমাত্রা বাংলাদেশ চীন ভিয়েতনাম সহ বহু দেশেই।
তবে দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতে সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতে গ্রহণ শুরু হবে ভারতীয় সময় সকাল ৮ বেজে ২৭ মিনিটে, গ্রহণ সর্বোচ্চ ঢেকে ফেলবে সকাল ৯'টা ৫৩ মিনিটে, এবং গ্রহণ শেষ হবে সকাল ১১ টা ৩২ মিনিটে।
সূর্য গ্রহণের এই অপূর্ব দৃশ্য দেখার জন্য সাধারণ মানুষ থেকে আম বাঙালি সবাই প্রস্তুত, কিন্তু আদৌ কি দেখা যাবে এই সূর্য গ্রহণ এখন সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।
আগামীকাল সূর্য গ্রহণ আর তার সাথে সাথে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে অধিকাংশ জেলাগুলিতে আকাশ প্রধানত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা এবং তার সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উচ্চচাপ বলয়ের কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করার ফলেহাদু বাতাসের সাথে শীতল বাতাসে সংঘর্ষে বজ্রগর্ভ মেঘ এর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে আর যার ফলে এই মেঘ থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে আগামীকাল সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে অধিকাংশ জেলাগুলিতে।
সকালের দিকে মেঘের ফাঁক থেকে সূর্য দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কলকাতার আকাশ সম্পূর্ণ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল এর তরফ থেকে জানানো হচ্ছে।
তার সাথে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাই সকালে মেঘের ফাঁক দিয়ে সূর্য দেখা গেলে চট করে গ্রহণ দেখে নিতেই পারেন রাজ্যবাসী।
কিন্তু কোথায় কতটা গ্রহণ দেখা যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
By MD
P.Ghosh
Update: 01:43 PM IST
25/12/2019
nice info !!
ReplyDelete