দুরন্ত ব্যাটিং শুরু করেছে বৃষ্টি বর্ষাকে সঙ্গে নিয়ে। আজ সকালেও ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, মেদিনীপুর সহ উপকূলীয় এলাকায়। বিগত ১২ জুন শুরু হয়েছিল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ধামাকাদার পারফরম্যান্স এবং ১২ জুনের পর থেকে প্রায়ই বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। কোথাও কোথাও হচ্ছে বৃষ্টির সাথে প্রবল বজ্রপাত। বিগত বছরে বর্ষা ঢোকার পর শুরুতেই ছিল খারাপ ব্যাটিং। যেন দক্ষিণবঙ্গে এসেই গতবছর টেস্ট খেলছিল। কিন্তু এবছর এসেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি ঝরাচ্ছে টি ২০ ব্যাটিং স্টাইলে। বিশেষত ভোরের দিকে বা সকালের দিকে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে বৃষ্টি। এবছর রয়েছে নিরপেক্ষ থেকে নেগেটিভ ডাইপোল এবং নিউট্রাল এল নিনো এবং পরবর্তীতে থাকতে পারে উইক লা নিনা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের উপর বর্ষার ব্যাটিংয়ের মেজাজ থাকবে বিরাট কোহলির মতো অ্যাগ্রেসিভ ফর্মে আর তার আভাস আমরা এখন থেকেই পাচ্ছি।
এর পাশাপাশি বঙ্গোপোসাগর কম যাবে না। তৈরি হবে নিম্নচাপ একের পর এক ঢালবে বৃষ্টি তৈরি হতে পারে প্রচুর স্থল নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্ত।
শুরুতেই বর্ষাকে কারা সক্রিয় করেছে এবার দেখে নেয়া যাক। বর্তমানে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা গুজরাট থেকে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর পাশাপাশি পূর্ব মধ্য ভারতের উপর রয়েছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত।পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এর প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে জলীয় সংযুক্তি ঘটছে। সমুদ্র থেকে আদ্র বাতাসের সঙ্গে মেঘ আসছে। ঘূূূরণাবর্ত্তের প্রভাবে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি আসছে। কোনো কোনো সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো সময় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। অক্ষরেখা নীচে থাকায় ও ঘূর্ণাবর্ত থাকায় ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি চলতে পারে। সাথে থাকবে আদ্র অসস্তিকর গুমোট পরিবেশ
। অর্থাৎ বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা আদ্র পরিবেশ থাকবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃষ্টি বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৭২ ঘন্টায়। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০-৩৩° সে আশেপাশে। আগামী ১৮ তারিখ থেকে বৃষ্টির দাপট আরো ক্রমশ বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায়।
পূর্বাভাস প্রদানকারী:অর্ঘ্য বটব্যাল
গ্রাফিক্স:অর্ঘ্য বটব্যাল
তারিখ: ১৪.৬.২০
সময়: বেলা ১০.৩০ মিনিট।
No comments:
Post a Comment