৭ মে ২০২৩
নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৫ থেকে ৬ দিনে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে চাঁদি ফাটা রোদ সহ ভয়াবহ গরম ও দাবদাহের সতর্কতা দেওয়া হলো। কলকাতা হাওড়া হুগলি মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া বর্ধমান ঝাড়গ্রাম বীরভূম মুর্শিদাবাদ সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ দাবদাহের সতর্কতা। দাবদাহের মূল কারণ হবে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এই নিম্নচাপ যত শক্তিশালী হবে ততই দক্ষিণবঙ্গ সহ ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে জলীয় বাষ্প টেনে নেবে অন্যদিকে মধ্য ভারত ও উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে ঢুকিয়ে দেবে উষ্ণ শুষ্ক বাতাস যার জন্য ভয়াবহ গরমে নাজেহাল অবস্থা হবে দক্ষিণবঙ্গের। সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ থেকে ৪৩°সে+ রেকর্ড হতে পারে। আর যদি ঘূর্ণিঝড় কোনো কারণে পশ্চিমবঙ্গ বা দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশে আঘাত না করে দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলের দিকে যায় পুরো ভয়াবহ দাবদাহ ও গরমে শেষ হয়ে যাবে দক্ষিণবঙ্গ। আপাতত তখন বৃষ্টি কবে হবে বা তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি কবে হবে তার কোনো সদুত্তর দেওয়া যাবেনা। ঘূর্ণিঝড় যদি পশ্চিমবঙ্গ বা দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশে হিট করে সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে দিয়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। সিস্টেম দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশ বা মায়ানমার গেলে ভীষণ গরম ও দাবদাহে জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাবে দক্ষিণবঙ্গ। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫°সে ছাড়িয়ে চলে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় খুবই ভয়াবহ হবে ঠিকই তবে পশ্চিমবঙ্গ বা দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশে হিট করলে ভয়াবহ দাবদাহ থেকে মুক্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড় অনেকটা ইনজেকশন এর কাজ করবে পরিমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে দিয়ে যাবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। আপাতত আগামী ৫ দিনে লাগামছাড়া গরম পড়তে চলেছে। গরম আরও কতটা বাড়বে বা তাপপ্রবাহের ভয়াবহতা কতদিন থাকবে। কবে ঝড়বৃষ্টি হবে তা নির্ভর করে আছে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ও শক্তির উপর। তাই ঘূর্ণিঝড় না এলে পশ্চিমবঙ্গ হয়তো ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচবে কিন্তু ভয়াবহ দাবদাহ ও তীব্র তাপপ্রবাহে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে। বৃষ্টির আশা না করাই ভালো সেক্ষেত্রে। আপাতত আগামী ৭২ ঘন্টায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আদ্র ও অসস্তিকর ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরম অনুভব হবে সাথে তাপপ্রবাহ বাড়বে । ঘূর্ণিঝড় যত শক্তিশালী হবে শুষ্ক বাতাস গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢোকাবে তখন আদ্র ও অসস্তিকর ঘর্মাক্ত গরমের পাশাপাশি শুষ্ক দাবদাহ, চাঁদি ফাটা রোদ ও লু হাওয়া বয়ে যেতে পারে । দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে যা পরবর্তীতে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্যাটেগরি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ও শক্তির উপর নির্ভর করে আছে দক্ষিণবঙ্গের তাপপ্রবাহ ও অসহ্য গরম প্রশমনের চাবিকাঠি। যদি দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশ বা মায়ানমার যায় তখন ভয়াবহ দাবদাহে জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাবে খরাপ্রবাহ লেগে যাবে দক্ষিণবঙ্গে। আপাতত ৫ দিন সমগ্র দক্ষিণবঙ্গজুড়ে দাবদাহের সতর্কতা দেওয়া হলো ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও শক্তির উপর নির্ভর করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা আরো বাড়ানো হতে পারে।
No comments:
Post a Comment