অনেকে বলছে এটি সূর্যের কাছাকাছি যাবে কিন্তু তা সম্পূর্ণভাবে ভুল কারণ এটি মোটেই সূর্যের কাছাকাছি যাবে না। এটি পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝামাঝি লাগারেঞ্জ পয়েন্ট কে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করবে যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এই যাত্রা পথ পূরণ করতে আমাদের আদিত্য এল ১ স্যাটেলাইট টির সময় লাগবে প্রায় ১২৭ দিন । এই অভিযানের জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা । আজ থেকে কিছু বছর আগে ইসরো এর বাজেট ছিল খুবই কম তবুও সেই সামান্য বাজেট এ ইসরো যে সমস্ত অত্যাধুনিক ও অবিস্মরণীয় মিশন পরিচালনা করে দেখিয়েছে তা সত্যি সারা দুনিয়ার কাছে ছিল তাক লাগানোর মতন একটি বিষয় । এরপরে ইসরো এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মিশন গগন যান যা আগামী দু বছরের মধ্যে সফলভাবে ভারতের নবস চরকে মহাকাশে প্রেরিত করবে, সেই মিশনের জন্য অপেক্ষা করে আছে প্রায় গোটা দুনিয়া । এছাড়াও ভবিষ্যতে ইসরোর শুক্র অভিযান এবং মঙ্গল যান ২ এর মতন ও গুরুত্বপূর্ণ মিশন রয়েছে । ইসরোর প্রতিটি বৈজ্ঞানিক এবং প্রতিটি কর্মচারী দের জানাই অনেক অভিনন্দন তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই আজ আমরা এত গর্বিত । তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সফল হয় আগামী দিনে আমরা সেই কামনাই করি ।
ভারতের ইসরোর সফলভাবে চন্দ্র অভিযান সারাদেশে সারা ফেলে দিয়েছে , বস্তুত মঙ্গল অভিযানের পর থেকেই ইসরোর জয়যাত্রা শুরু , তারপর ক্রমশ বিভিন্ন মিশন এর মধ্য দিয়ে মিশ্র যাত্রা পথ এগিয়েছে , গত ২৩ শে আগস্ট ভারতের চন্দ্রযান্ ৩ সফলভাবে অবতরণ করেছে চাঁদের মাটিতে এই রূপকথা শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে প্রথম চন্দ্র অভিযানের মধ্য দিয়ে , তারপর অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছে ইসরো । আজ এমনই একটা ঐতিহাসিক দিন যা ভবিষ্যতে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে কারণ আজ ২ সেপ্টেম্বর ভারত পি এস এল ভি সি ৫৭ রকেট এর মাধ্যমে প্রথম সূর্য অভিমুখী সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করা এবং করোনা বলয় কে আরো ভালোভাবে অনুসন্ধান করার জন্য আদিত্য এল ১ মিশন লঞ্চ করলো ইসরো , বস্তুত আমরা সূর্যকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আমাদের ইতিহাস এবং সৌরজগৎ সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করতে পারব যা আগামী দিনে আমাদের অন্যান্য মিশন এবং আরো অনেক ক্ষেত্রে আমাদেরকে সাহায্য করবে ।

No comments:
Post a Comment