৩০শে মার্চ ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতা: সকাল বেলায় রোদের তেজ, ঝকঝকে নীলাকাশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘর্মাক্ত ও অসস্তিকর ভ্যাপসা গরম। পূর্বাভাসে তো বলা ছিল শনিবার দূর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে তো দূর্যোগ কোথায়? দূর্যোগ ঠিক আছে সেটা দিনের পরবর্তী সময়ে। সময় পাল্টেছে শীতকালের মতো সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু চৈত্র - বৈশাখ মাসে হয়না। সারাদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে সূর্যের তাপে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকতে শুরু করে জলীয় বাষ্প। এই জলীয় বাষ্প ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে নিম্নচাপের কারণে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। দুপুর থেকে রাতের মধ্যে তৈরি হয় শক্তিশালী বজ্রগর্ভ মেঘকোষ। বজ্রগর্ভ মেঘ আরো জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হয়ে উচ্চতা বাড়াতে থাকে এবং পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়। এই পদ্ধতিতে তৈরি হয় কালবৈশাখী। বর্তমানে আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল হলেও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর পশ্চিম ভারতের উপর অবস্থান করছে। যারজন্য গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড অভিমুখী জলীয় বাষ্পের যোগান যথেষ্ট রয়েছে। ৩০শে মার্চ বিকেলের দিকে বা বিকালের পর পুরুলিয়া বাঁকুড়া পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম হাওড়া হুগলি কলকাতা ২৪ পরগণা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল থাকলেও বিকালের দিকে বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বাইর হন। ৩০ ও ৩১শে মার্চ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এপ্রিলের শুরু থেকে দাবদাহ ও তাপপ্রবাহে নাকাল হবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ।
No comments:
Post a Comment