৬ই এপ্রিল ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতা: রায়দিঘি ৭৭°সে কি আজগুবি কথাবার্তা। এরকম কোনো দিন হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘির তাপমাত্রা ৭৭°সে সত্যি সত্যি কোনো দিন ওঠেনি। তাহলে আপনারা যে বলছেন রায়দিঘি ৭৭°সে। ৭৭°সে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয় বরং ৭৭°সে হলো অস্বস্তিসূচক। তাহলে তাপমাত্রা কত ছিল? তাপমাত্রা ছিল ৩৬°সে। তাহলে ৭৭°সে কেন? কারণ ওই ৩৬°সে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মনে হয়েছে ৭৭°সে তাপমাত্রার সমতুল্য। এবার বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যাক বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকলে বাতাসের তাপ ধারণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় পাশাপাশি বেড়ে যায় অসস্তি। ৩৬°সে তাপমাত্রা ও ৯৯% বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা এতটা অসস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। বাঁকুড়ায় ৪২°সে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠলেও এতটা অসস্তির কারণ হয়না তার কারণ পরিমণ্ডলে ঐ সমস্ত অঞ্চলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে যার জন্য অস্বস্তিসূচক ৪৫-৪৭°সে এর আশেপাশে থাকে। আবার হাওড়া জেলার কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮°সে থাকলেও বাঁকুড়ার থেকে বেশি গরমের অসস্তি অনুভব হয় হাওড়া জেলায় সেখানের অস্বস্তিসূচক ৫০-৫৫°সে এর আশেপাশে অনুভব হয়। যেখানে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি সেখানে কনভেকটিভ অ্যাভিলেবেল পোটেনশিয়াল এনার্জি বেশি হয় যার জন্য গরমের কষ্ট বেশি অনুভব হয়। কলকাতার দমদমে ৬ই এপ্রিল অস্বস্তিসূচক উঠে গেছে ৫২°সে। এই অস্বস্তিসূচক কিন্তু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অস্বস্তিসূচকের তুলনায় অনেক কম হয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ও জলীয় বাষ্পের সমন্বয়িত অনুভূতি সূচক হলো রিয়েল ফিল। যেখানে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ যত বেশি সেখানে রিয়েল ফিল তত বেশি হয়ে থাকে। যারজন্য পুরুলিয়া বাঁকুড়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়ালেও রিয়েল ফিলের দিক থেকে এগিয়ে থাকে কলকাতা হাওড়া মেদিনীপুর ও ২৪ পরগণা। তাই মাঝে মাঝে অনেকেই ভাবে এ যা গরম পড়েছে ৪০-৪২°সে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে গেছে বাস্তবে দেখা যায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭-৩৮°সে রয়েছে কিন্তু রিয়েল ফিল পৌঁছে গেছে ৫০-৫৫°সে।
No comments:
Post a Comment