নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাক মৌসুমী পর্যায়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সময় তীব্র থেকে তীব্রতর বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে। প্রাক মৌসুমী পর্যায় হলো এমন একটি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় যখন গ্রীষ্মকালের অন্তিম পর্যায়ে ঋতুগত পরিবর্তন হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালের অন্তিম পর্যায়ে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের যোগান থাকে তার পাশাপাশি বায়ুমন্ডলের উত্তাপ অনেক বেশি থাকে। বায়ুমন্ডলের উত্তাপ ও প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি কনভেকটিভ এভেলেবেল পোটেন্সিয়াল এনার্জি বাতাসে যথেষ্ট পরিমাণে রাখে। যার জন্য বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হলে তা খুব দ্রুত শক্তিশালী হবার সম্ভাবনা থাকে এবং বজ্রপাতের তীব্রতা বেশি হবার সম্ভাবনা থাকে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবনহানিকর হয়ে থাকে। প্রাক মৌসুমী পর্যায় হলো এমন একটি পর্যায় যখন বৃষ্টির তীব্রতা কম ও যথেষ্ট পরিমাণে অনিয়মিত হয়ে থাকে যার জন্য বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা বা SPM এর পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে প্রাক মৌসুমী পর্যায় থেকে যখন বর্ষা প্রবেশের সময় আসে তখন তৈরি হওয়া সুউচ্চ কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বাতাসে দূষণ ও ধূলিকণার মাত্রা বেশি থাকায় বেশি বজ্রপাত দেখা যায় অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবং বর্ষা প্রবেশের সময় বজ্রপাতের তীব্রতার পিক বা চূড়া সবচেয়ে বেশি থাকে। প্রাক মৌসুমী পর্যায়ে বিশেষত বর্ষা আসার সময় মধ্য ও উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে উইণ্ড শেয়ার বা বায়ুপ্রবাহ স্থবির প্রকৃতির হয়ে থাকে। যার জন্য বজ্রগর্ভ মেঘ স্থবির প্রকৃতির হয়ে থাকে। স্থবির প্রকৃতির বজ্রগর্ভ মেঘে পজেটিভ ও নেগেটিভ চার্জ বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি তৈরি হয় অন্য দিকে বায়ুমন্ডলে ধূলিকণার মাত্রা বেশি থাকায় বজ্রপাত তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। বিগত বেশ কিছু বছর আগে বর্ষা প্রবেশের সময় তীব্রতর বজ্রপাত দেখা যেতনা এতটা তার কারণ হলো মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতো কোনো না কোনো নিম্নচাপের হাত ধরে। নিম্নচাপ পূবালী বাতাসের প্রবাহকে অতি সক্রিয় করার কারণে মেঘগুলো দ্রুতগামী হতো এবং বজ্রপাতের তুলনায় বৃষ্টি বেশি ঘটাতো। কিন্তু বর্তমান বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে পূবালী বাতাসের যায়গায় মধ্য বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে পশ্চিমা জেট বাতাস থাকার কারণে নিম্নস্তরের জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস ও পশ্চিমা জেট বাতাসের সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে তীব্র বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে যা অবশ্যই প্রাণঘাতী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় বর্ষা আসার আগে মধ্য বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে পশ্চিমা জেট বাতাসের প্রাবল্য বেশি থাকার কারণে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে যা একটি প্রাক মৌসুমী পর্বের স্বাভাবিক ঘটনা হলেও তীব্র বজ্রপাত অনেক মানুষের জীবন হানির কারণ হতে পারে তীব্র বজ্রপাতের কারণে পশু পাখি মানুষ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই অগ্রিম সতর্কতা করা হয়েছে ওয়েদারও ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফ থেকে ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল আবহাওয়া সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়াবার পক্ষপাতী নয় যেটা সত্য সেটাই তুলে ধরা ওয়েস্ট বেঙ্গলের কাজ যা বিগত পূর্বাভাস গুলোতে প্রমাণিত হয়েছে আমরা কতটা সঠিক ছিলাম। আগামী পাঁচ থেকে সাত দিনে চলমান বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি মূলত নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সৃষ্টি হবে। যার জন্য নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হবে পরিচলন পদ্ধতিতে এই পরিচলন পদ্ধতিতে সৃষ্টি হওয়া বজ্রগর্ভ মেঘ প্রচুর বজ্রপাত ঘটাতে সক্ষম। মেঘের মধ্যে থাকা জলকণায় নেগেটিভ ইলেকট্রিক চার্জ ও পথচারী গাছপালা প্রভৃতিতে থাকা পজিটিভ চার্জে আকর্ষণের ফলে ভয়াবহ ক্লাউড টু গ্রাউন্ড লাইটেনিং দেখা যেতে পারে তাই ওয়েদারও ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফ থেকে আগাম বজ্রপাত প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গবাসীদের।
Weather of West Bengal
18Th June 2024
Very bad page
ReplyDeletevery good
ReplyDelete