জুন মাসের শেষ অব্দি রাজ্যে একদম ঝিমিয়ে ছিল বর্ষা, যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ খরার সম্মুখীন হয় | সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যায় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে, কোন নিম্নচাপ অক্ষরেখা বা সক্রিয় মৌসুমী সিস্টেমের অভাবে দক্ষিণবঙ্গ ১৮৯১ সাল থেকে ২০২৪ এর মধ্যে দীর্ঘ ১৩৪ বছরের ইতিহাসে বৃষ্টির ঘাটতীর দিক থেকে তৃতীয় স্থান লাভ করে মোট বৃষ্টিপাতের ৬৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত পেয়ে | জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের ২৪৭ কিলোমিটার বৃষ্টির চেয়ে বৃষ্টিপাত হয় মাত্র ৮১ মিলিমিটার | এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছিল মাত্র দুবারই, ১৯০৫ ও ২০০৯ সালে, যখন বৃষ্টিপাত হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে ৭১ ও ৬৯ মিলিমিটার স্বাভাবিকের ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টির চেয়ে | কলকাতা শহরে ও জুন মাসের শেষ অব্দি বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৭৫ শতাংশ ছিল | তবে এই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয় জুন মাসের শেষে যখন বঙ্গোপসাগরের তৈরি হয় একটি নিম্নচাপ এবং তা অস্বাভাবিকভাবে উত্তর দিকে অগ্রসর হয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে চলে আসে যার ফলে ভারী বৃষ্টির সম্মুখীন হয় কলকাতা এবং সংলগ্ন হাওড়া ও দুই চব্বিশ পরগনা জেলা | এই নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পরবর্তীকালে উত্তরবঙ্গের উপর অবস্থান করায় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চলতে থাকে হালকা থেকে মাঝারি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এবং পশ্চিমের জেলাগুলি যেরকম পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম সম্মুখীন হয় ভারী বৃষ্টির
এই ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থানের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে | উত্তরবঙ্গের দক্ষিনে জেলাগুলি অর্থাৎ দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা ছাড়া আর সমস্ত অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে, এর ফলে রাজ্যে বর্ষার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতে পারে | তবে এই সপ্তাহে শেষের দিকে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে শুরু করবে যেহেতু মৌসুমী অক্ষরেখা দক্ষিণের দিকে সরে যাবে | এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে | তবে জুলাই মাসে শেষ থেকে রাজ্যে আবার বৃষ্টি ফিরতে পারে
আবহাওয়া সংক্রান্ত এইরকমই আরো বিস্তারিত তথ্য পেতে জুড়ে থাকুন আমাদের সাথে সর্বদা -
No comments:
Post a Comment