গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, ভারী থেকে চরম ভারী বৃষ্টিপাত হয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-পশ্চিমে দুই বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাতে যার ফলে ডিভিসি এর বিস্তীর্ণ জলাধার থেকে ব্যাপক হরে জল ছাড়া হয় দুর্গাপুর তিলপাড়া এবং পশ্চিমের অন্যান্য ব্যারাজগুলিতে | ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ নিচু অঞ্চল | মাই থানা পাঞ্চে জলধার মিলিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার কিউসেক্ জল ছাড়া হয়, এরপরই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৭০ হাজার কিউসেক, গালুডি থেকে ২০ হাজার কিউসেক এবং হীংলো জলাধার থেকে ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় | এই অতি ভারী বৃষ্টির ফলে শুক্রবার সকালে হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে হাওড়া ব্যান্ডেল শাখার চন্দননগর ও চুঁচুড়ার মাঝখানে ধস নামে যার ফলে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন হয়। এছাড়াও জমে জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় মারা যায় হাওড়া সালকিয়ার একজন | জলমগ্ন হয়ে পড়ে বীরভূমের কঙ্কালীতলার মন্দিরও এছাড়াও কোপাই নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে | কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয় দমদমে যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০০ মিলিমিটার এবং কলকাতার সংলগ্ন বারাসাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৫ মিলিমিটার হয়ে যায় | দুই বর্ধমানের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিটার হয়ে দাঁড়ায় | কলকাতায় ভারী বৃষ্টির ফলে ভেঙে পড়ে বাগুইহাটির একটি প্রাচীন বাড়ি | এছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব উত্তর প্রদেশের উপরে থাকা অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা স্বরূপনগরে এবং হুগলির তারকেশ্বরে ছোট জলস্তম্ভ দেখা মেলে যা স্থানীয়ভাবে কিছু ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করে | এরই মধ্যে বিপদের খবর যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এই সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ আরেকটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হতে পারে যা ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের ওপরে যেতে পারে এর ফলে ভারী বৃষ্টির সম্মুখীন হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি অর্থাৎ দুই বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ইত্যাদি জেলাগুলি | এত বৃষ্টির পরেও কাউকে পশ্চিমবঙ্গের বৃষ্টির ঘাটটি কোনভাবেই কম হচ্ছে না | গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ব্যবস্থা থাকলেও সেই বৃষ্টিপাত কতটা ঘাটতি মেটাতে পারে তার দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে
এরকমই আবহাওয়া সংক্রান্ত আরো খবর পেতে জুড়ে থাকুন আমাদের সাথে
No comments:
Post a Comment