প্রায় দশ বছর বাদে আবারো সাত সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ভারত সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল | ভারতীয় সময় সকাল ৬:৩৫ মিনিট নাগাদ নেপাল চীন সীমান্তে নেপালের লেবুচে থেকে প্রায় ৯৩ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে তিব্বতের ডিংগড়ি অঞ্চলে রিকটার স্কেলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় যা অনুভূত হয় নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ তিব্বত, বিহার, আসাম, উত্তরপ্রদেশের পূর্ব সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রভৃতি অঞ্চলে | নেপালের কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পের আতঙ্কে সবাই বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে ভূমিকম্পের তীব্রতায় অনেকের ঘুম ভেঙে যায় এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র সরে যেতে দেখেন অনেকে | ভূমিকম্পটি ভারত ও ইউরেশিয়া পাতের সীমান্তে একটি উত্তর দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত সাধারণ ফাটল থেকে সৃষ্টি হয় যার গভীরতা ছিল মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার | কম্পনটি হিমালয়ের উত্তর দিকে হওয়ায় এর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম হয় যেহেতু ভূমিকম্পের প্রভাবে সৃষ্ট শকওয়েভ হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের উত্তর দিকে আটকে পড়ে তার ফলে উত্তর ভারত এবং নেপাল ও ভুটানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হলেও প্রধান ক্ষয়ক্ষতি চীনের ডিঙরি প্রদেশে হয় | এখন অব্দি পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তিব্বতে | এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ | এই অঞ্চলে এরকম ভূমিকম্প এর আগে অনুভূত হয় ২০১৫ সালের যখন ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গোটা উত্তর ভারত | এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে ১৯৩৪ সালের নেপাল বিহার সীমান্তে | এখন অব্দি প্রায় কুড়িটির কাছাকাছি চার থেকে পাঁচ মাত্রা অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প কেন্দ্রের কাছে তিব্বত অঞ্চলে এবং পরবর্তী কালে আরও আফটার শখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে | পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বাংলাদেশের ঢাকা ইত্যাদি অঞ্চলেও কয়েকজন খুব মৃদুভাবে এই ভূমিকম্প অনুভূত করেন ১০ বছরের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে | হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে এরকম ভূমিকম্পের ঘটনা খুবই সাধারণ |
আবহাওয়া ও আরো প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর পেতে আমাদের পেজে চোখ রাখুন ধন্যবাদ |
No comments:
Post a Comment