বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণবাত কারণে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের আগামী দিনে ধোঁয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। এই ব্যবস্থাটি অঞ্চলের বায়ুপ্রবাহকে প্রভাবিত করছে, যার ফলে বাতাসে ধুলো এবং দূষণকারী পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ, কলকাতা এবং এর সংলগ্ন জেলাগুলি সহ দক্ষিণবঙ্গে দৃশ্যমানতা হ্রাস এবং বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে কেন কুয়াশা তৈরি হচ্ছে?
একটি বিপরীত ঘূর্ণবাত বর্তমানে মধ্য বঙ্গোপসাগরে আধিপত্য বিস্তার করছে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক এবং স্থিতিশীল বায়ুমণ্ডল তৈরি হচ্ছে। এই আবহাওয়ার ধরণ উল্লম্ব বায়ু চলাচলকে দমন করে, ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি দূষণকারী পদার্থকে আটকে রাখে। উপরন্তু, দুর্বল পৃষ্ঠীয় বাতাস জমে থাকা ধুলো এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে দিতে অক্ষম, যার ফলে সমগ্র অঞ্চল জুড়ে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
আবহাওয়ার প্রভাব
১. দৃশ্যমানতা হ্রাস: দৃশ্যমানতার মাত্রা কম থাকার কারণে গাড়িচালক এবং যাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন, বিশেষ করে ভোরবেলা এবং সন্ধ্যার শেষের দিকে।
২. বর্ধিত বায়ু দূষণ: স্থির বাতাস দূষণকারী পদার্থ জমা হতে পারে, যা শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. ঠান্ডা সকাল: কুয়াশার কারণে ভোরে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, যা শীতের ঠান্ডা আরও বাড়িয়ে দেয়।
৪. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ: হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যেমন দূষণের সর্বোচ্চ সময়ে মাস্ক পরা এবং বাইরের কার্যকলাপ এড়িয়ে চলা।
আকাশ কখন পরিষ্কার হবে?
সর্বশেষ আবহাওয়া মডেল অনুসারে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধোঁয়াশা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, বাতাসের ধরণে পরিবর্তন শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি আনবে। বাতাসের গতি বৃদ্ধির সাথে সাথে, আটকে থাকা দূষণকারী পদার্থগুলি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আকাশ পরিষ্কার হবে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
- উচ্চ দূষণের সময় বাইরের কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন।
- বাইরে বেরোনোর সময় N95 মাস্ক ব্যবহার করুন, বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের জন্য।
- ঘরের ভিতরে দূষণ রোধ করতে ঘন কুয়াশার সময় দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
- দূষণের প্রভাব মোকাবেলায় হাইড্রেটেড থাকুন এবং উষ্ণ তরল পান করুন।
ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবে এবং সময়মত আপডেট প্রদান করবে। আপনার অঞ্চলে আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
No comments:
Post a Comment