🌦️উত্তর থেকে দক্ষিণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের বৈচিত্র্য🌦️
বর্ষার শেষ ভাগে দাঁড়িয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের তারতম্য স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হতে চলেছে আগামী ২৪ ঘণ্টায়। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে, যেখানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পাশাপাশি কিছু স্থানে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি পার্বত্য এলাকায় এই ভারী বৃষ্টিপাত ভূমিধসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি অঞ্চলগুলোতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং সংলগ্ন জেলাগুলোতে এই বৃষ্টির প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। তবে এই বৃষ্টিপাত চাষাবাদ এবং গ্রামীণ জীবনের জন্য উপকারী হয়ে উঠতে পারে। তবে বেশ কয়েকদিন একনাগারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিন্তু জনজীবন অসুবিধার মুখে পড়বে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন হবে। আকাশ প্রধানত আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং এখানে মূলত বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ শহরাঞ্চলগুলোতে আকাশ অনেকটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টি হবে মাঝে মধ্যে। আবার কখনো একটা না হালকা বৃষ্টিপাত ও পরিলক্ষিত হতে পারে স্থান বিশেষে। তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম অংশ যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি দেখা যেতে পারে। এর পাশাপাশি উপকূলবর্তী অঞ্চল যেমন পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টির আধিক্য বেশি হতে পারে। সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করার কারণে এই অঞ্চলে বরাবরই বর্ষার শেষে এমন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
সার্বিকভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর থেকে দক্ষিণে আবহাওয়ার বৈচিত্র্য স্পষ্ট হবে। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকার তীব্র বৃষ্টিপাত যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, সেখানে দক্ষিণবঙ্গের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তি এনে দিতে পারে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষদের কাছে।
বর্ষার এই শেষ অধ্যায়ে উত্তর–দক্ষিণের ভৌগোলিক পার্থক্যই তৈরি করছে আলাদা আলাদা আবহাওয়ার রূপ, যা আগামী দিনে রাজ্যের আবহাওয়ার ছবিকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলবে।

No comments:
Post a Comment