বর্ষার শেষ প্রান্তে এসে আবহাওয়ার বৈচিত্র্য যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে এখনো বৃষ্টির প্রবল দাপট দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে আসা জলধারা ও টানা মেঘলা আকাশ সেখানকার পরিবেশকে শীতল ও সজীব করে তুলছে। পর্যটকদের কাছে এই মুহূর্ত হয়ে উঠেছে এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা। দার্জিলিং, কালিম্পং বা ডুয়ার্স যারা ভ্রমণে গিয়েছেন, তারা এখন প্রকৃতির ভিন্ন রূপ প্রত্যক্ষ করছেন। সবুজে মোড়া পাহাড়ের গায়ে যখন মেঘ খেলা করছে, তখনই ঝিরঝিরে বৃষ্টির সুর মিশে যাচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গীতে।
কিন্তু এর সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির অনুপস্থিতি এবং টানা রোদ্রের তেজে কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলো জেরবার হয়ে উঠেছে। দিনের বেলায় প্রখর সূর্য মানুষকে হাঁপিয়ে তুলছে। শরতের শুরুর ইঙ্গিত থাকলেও আবহাওয়ার অস্বস্তিকর গরম অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে। বিশেষত কর্মজীবী মানুষদের যাতায়াতে ভোগান্তির শেষ নেই। স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের কাছেও এই অস্বাভাবিক রোদ যেন বাড়তি কষ্টের কারণ হয়ে উঠেছে।
তবে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের রোদ্রের উৎপাতই সহ্য করতে হবে।
একদিকে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টিসিক্ত শীতল আবহাওয়া, অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের উষ্ণ রোদের দাপট—এই দ্বৈত আবহাওয়া যেন একই রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে আলাদা গল্প লিখছে। প্রকৃতির এই বৈপরীত্যই বাংলার আবহাওয়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যা মানুষকে একদিকে বিরক্তি দিলেও অন্যদিকে বিস্ময় জাগায়।
No comments:
Post a Comment