⛰️ উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টির দাপট, ধ্বসের আশঙ্কা তীব্রতর 🌧️
আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষত দার্জিলিং, কালিম্পং ও তার সংলগ্ন পার্বত্য অঞ্চল গুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের এই ধরনের ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা পাহাড়ি এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে যেমন প্রভাবিত করতে পারে, তেমনি ভূমিধসের প্রবণতাও ক্রমশ বাড়িয়ে তুলতে চলেছে।
পাহাড়ি এলাকার মাটি অতিরিক্ত ভিজে গেলে স্বাভাবিকভাবেই ঢালু জমিতে ধ্বসের সম্ভাবনা তৈরি হয়। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতো জনবসতিপূর্ণ এবং পর্যটকদের প্রিয় অঞ্চলে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, তা অতীতেও বহুবার দেখা গেছে। রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়া, যান চলাচল ব্যাহত হওয়া, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয়— সবই ধ্বসের সঙ্গে জড়িত। ফলে পাহাড়ি বাসিন্দাদের পাশাপাশি ভ্রমণকারীদেরও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তবে শুধুমাত্র মানুষের জীবন নয়, এই প্রবল বৃষ্টিপাত পাহাড়ি এলাকার প্রকৃতিকেও বড় ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। বৃক্ষচ্ছেদন ও অপরিকল্পিত নির্মাণ কার্যক্রমের ফলে পাহাড়ি মাটির স্থায়িত্ব কমে যাওয়ায় ভূমিধসের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যটক ও স্থানীয় প্রশাসনের উচিত আগামী কয়েকদিন পাহাড়ে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলা এবং সজাগ থাকা।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের সমতল এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও পার্বত্য অঞ্চলের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে নদী-নালা ফুলে ওঠা ও জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতির সৌন্দর্যের আবরণে মোড়ানো এই পাহাড়ি জনপদগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন সময়মতো সতর্কতা ও সচেতনতা। প্রকৃতিকে সম্মান জানিয়ে এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেই এই দুর্যোগের প্রকোপ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
No comments:
Post a Comment