ধীরে ধীরে বাড়বে উত্তাপ। প্রখর হবে সূর্যের তেজ। বয়ে যাবে মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস। এই বসন্তের চেনা ছবি। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘ বৃষ্টির জন্য তাল কাটছে বসন্তের। আবার মেঘবৃষ্টির পর ভালোমত শীত। এসব সরিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আসতে চলেছে পাকাপাকি ভাবে বসন্ত। কমতে থাকবে শীতের দাপট পাকাপাকি ভাবে। তবে এখনি শীতের আমেজ যাচ্ছে না। আবার তেমন গরম পড়বে না। ১৪ তারিখ থেকে পাকাপাকি বাসন্তিক পরিবেশ থাকবে। এই সময় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪-১৭° সে আশেপাশে। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে আরো বাড়বে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা। আর তেমন নামবে না তাপমাত্রা। ধীরে ধীরে গরমের দিকে এগিয়ে যাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। তবে আগামী ১০-১৩ তারিখের মধ্যে আরেক দফা ঠাণ্ডা আসতে চলেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরে বাতাসের দাপট ওই সময় বাড়তে পারে কিছুটা এর প্রভাবেই ঠাণ্ডা লাগবে। সর্বোনিম্ন উষ্ণতা থাকবে ১১-১৪° সে আশেপাশে। ১৪/১৫ তারিখ থেকে আর জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা কম। আকাশ পরিষ্কার থাকবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪-১৮ তারিখের মধ্যে তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পরিষ্কার আকাশ ও উত্তরে বাতাসের দাপট কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে কমবে। বাড়বে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর ফলে পাকাপাকি ভাবে আসতে চলেছে বসন্ত ১৪ ফেব্রুয়ারি বা ঐ সময় থেকে। বায়ু সম্মিলন , ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার প্রভাবে ৭-৯ তারিখের ভেতর বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি বা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। সঙ্গে থাকবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা বেশি থাকবে।
উত্তর পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমীঝঞ্ঝা হানা দেবে ১৩/১৪ তারিখ নাগাদ। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ভারতের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। একটি শক্তিশালী উচ্চ্চাপ বলয় তৈরি হবে বঙ্গোপোসাগরে। যা দখিনা বাতাসকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করাবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকবে। এর প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। এর পর থেকে আর তেমন নামতে পারবে না তাপমাত্রা। তবে ১০-১৮ তারিখের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। মনোরম পরিবেশ বজায় থাকবে ১৪ তারিখ থেকে। ১০-১৩ তারিখের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আবার ঠাণ্ডা আসতে চলেছে।
পূর্বাভাস প্রদানকারী:অর্ঘ্য বটব্যাল
তারিখ: ৭.২.২০
সময় : রাত ১২ টা ৫ মিনিট ।
No comments:
Post a Comment