এখনি সতর্কিত না হলে ভয়াবহ বিপদে আমরা। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হন এখনি । - Weather of West Bengal

My weather, my bengal.

Thursday, March 19, 2020

এখনি সতর্কিত না হলে ভয়াবহ বিপদে আমরা। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হন এখনি ।

বর্তমানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে । ঠেকেছে ১৯৭ এ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মোট মৃত্যু ভারতে এখনো পর্যন্ত ৪ জন। এখনি যদি আমরা সতর্কিত না হতে পারি তাহলে করোনা ভাইরাস ( Covid 19 ) আরো নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার দাপট। হা কোভিড ১৯ একটি মারণ ভাইরাস হিসেবে বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করেছে। এই ভাইরাস অনুবীক্ষণিক ও  মুকুটের মতো দেখতে। এই ভাইরাসের বাইরের আবরণ সাধারণত প্রোটিন দ্বারা গঠিত এবং অভ্যন্তরীণ অংশ RNA ( Ribo nuclic acid ) দ্বারা গঠিত। করোনা ভাইরাস সাধারণত মানুষের শরীরে সংযোগ ও বায়ুর মাধ্যমে প্রবেশ করে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে ও সংযোগের মাধ্যমে একদেহ থেকে আরেক দেহে প্রবেশ করে। বায়ুর মাধ্যমে সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে। প্রবেশ করার ১০-১৪ দিনের মধ্যে মানুষের শরীরে সংক্রামণের লক্ষণ প্রকাশ পায়। Covid 19 সাধারণত সংযোগ ও সংস্পর্শে
বর্তমানে পৃথিবীর অনেকাংশে ছড়িয়ে পড়েছে। অসতর্কতা বা প্রাথমিক গুরুত্বহীনতার কারণে বেশ কিছু দেশে ভয়ঙ্কর ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে নোভেল করোনা। এই করোনা ভাইরাস ফ্লু এর ন্যায় হলেও বিস্তারণ ক্ষমতা ও ছোঁয়াচে হওয়ায় বর্তমানে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে এবং সংখ্যাটা গুণোত্তর হারে বাড়ছে বেশ কিছু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য বিশেষ চিন্তার হয়ে উঠেছে এই নোভেল করোনা। সেই জন্য নিজের এবং পরিবারের বয়স্ক ও দুর্বল মানুষদের কথা চিন্তা করে এখনি সতর্কিত হোন। 
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে লাফিয়়ে লাফিয়়ে বাড়়ছে Covid 19 এর প্রভাব। ১৪ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ১৪ মার্চ ১৪৮০৫২ জন আক্রান্ত বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে ২২৩১০৪ জনে ঠেকেছে। মৃত্যু হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫৪৪ জন থেকে ৯১৪৯ জনে । এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তাই আমাদের এখনি সতর্ক হতে হবে। মহামারীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়়েছে পরিব্রাজন। একদেশ থেকে অন্যদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং পরে সংস্পর্শের মাধ্যমে আরো দ্রুত গতিতে দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। ভারত তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে বিদেশি ভারতীয় দের মধ্যে দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে এমন চলতে থাকলে একটি বৃৃহৎতর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়়তে পারে জীবাণু। যা অতিব ভয়ঙ্কর হতে পারে মহামারীর তৃতীয় পর্যায়। যেটা এখন ঘটেছে ইরান, ইতালি সহ নানা দেশে। তাই সতর্ক হোন এখনি। বিচ্ছিন্ন করণ পদ্ধতি মেনে চলতে তাই বলা হচ্ছে বিদেশ থেকে আগত ভারতীয় এবং সংলগ্ন ব্যক্তিদের । তারা যেন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এবং পরামর্শ মতো দুুরত্্ব বজায় রেখে চলেন। 
বর্তমানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। বর্তমানে দুইরকম ভাবে সংক্রামণ হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে বিদেশী ভারতীয় ও প্রবাসীদের দ্বারা। এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের দ্বারা। এই দুটি ধাপেই এত দ্রুত সংক্রামণ ও পরিসর বাড়়ছে যে এই ভাবে চলতে থাকলে আগামী বেশ কিছু দিনের মধ্যে বড়ো এলাকায় বৃৃহৎ সংখ্যার মানুষ আক্রান্ত হতেই পারে। ১৪ মার্চ ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল বর্তমানে ভারতে ৫ দিনে সেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৭ যা অত্যন্ত চিন্তার ও সতর্ক হয়়ার মতো বিষয়। তাই প্রতিরোধ করা অবশ্যই উচিত এখনি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়়তে থাকলে মৃত্যু হার বৃদ্ধি পেতে থাকবে যতই রোগের মৃত্যু এক্ষেত্রে কম ঘটুক। ভারত একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ বিশাল জনগোষ্ঠীর আক্রান্ত হার বাড়়লে সকলকে যথাসময়ে চিকিৎসা দেয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে বৃদ্ধ ও অসহায় মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়়বে কেবল আপনার সতর্কতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে। তাই এখনি বিষয়টি ছোট ভাবে না দেখে সতর্ক হোন । এবং নিজে বাচুুন ও সমাজকে বাঁচান। 
প্রাথমিক গুরুত্ত কম দেওয়ার জন্য ইতালি জার্মানি স্পেন ইরান সহ নানা জায়গায় করোনা চরম মহামারীর আকার ধারণ করেছে। মৃত্যু সেখানে এখন নিত্য ঘটনা। দ্রুত হারে বাড়ছে আক্রান্ত সংখা ও মৃত্যু সংখা । কারণ এই রোগ খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। ভারত এখনো সেই জায়গায় পৌঁছয়নি। এখনো সময় রয়েছে রোগ প্রতিরোধ করার আর তারজন্য নাগরিকদের হতে হবে দায়িত্বশীল। চীন সহ বেশ কিছু দেশ বর্তমানে অতি সক্রিয় হয়ে ওঠায় বর্ত্তমানে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে ওই সমস্ত অঞ্চলে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, বাইরে গেলে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করা, অসুস্থ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। বিদেশ থেকে এলে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা যতক্ষণ না চিকিৎসক অনুুমতি দেয়। একত্রিত না হয়়া। সাবান ও জীবাণুমুক্ত লোশন দিয়ে হাত ধোয়া প্রভৃতি। একটু কষ্ট হবে হয়ত , একটু মানিয়ে নিতে হবে হয়ত , একাকিত্ব লাগবে । তবে এর মাধ্যমে ভারত তুুলনায় কম প্রভাবিত হবে। দেখতে পাব বয়স্কদের হাসিমুখ। ইতালির মতো শুনতে হবে না আর্তনাদ বা দেখতে হবে না চীনের ইউহানের বৃৃদধ মানুষের মৃত্যুর আগের শেষ সূর্যাস্ত। তাই ভয়ঙ্কর হবার আগেই সতর্ক হোন। 
লেখায় : অর্ঘ্য বটব্যাল।
তারিখ: ১৯.৩.২০
সময়: রাত ১০ টা। 

No comments:

Post a Comment

Weather Prediction Model

Comming Soon......