বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত ,ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত ও বায়ুর সম্মিলনের প্রভাবে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। হতে পারে বৃষ্টির সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্ন শিলাবৃষ্টি। কোথাও কোথাও ৪০-৬০ কিলোমিটার বা ৫০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বল কালবৈশাখী হতেও পারে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া,হুগলি, কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত
ছোটোনাগপুর মালভূমি ও সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত ও বঙ্গোপোসাগরে উচ্চচাপ বলয় দুয়ের প্রভাবে জলীয় বাষ্প পূর্ণ বাতাস পরিমণ্ডলে বাড়ছে। এছাড়া উত্তর পশ্চিম বাতাস ও আদ্র বাতাসের সম্মিলনে বিচ্ছিন্ন বজ্রমেঘ কোষ গঠনের মাধ্যমেই এই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পর আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ উঠছে আবার বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ থাকছে সামগ্রিক ভাবে আংশিক থেকে কোনো কোনো সময় প্রধানত মেঘলা। আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি। ৮ তারিখ থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবারো ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড , ওড়িশা ও বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে থাকছে বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বিক্ষিপ্তভাবে। কোথাও কোথাও বজ্রঝঞ্ঝা আবারো হতে পারে ১১ থেকে ১৪ মার্চের মধ্যে। ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন এলাকায় অপর একটি ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝ ও উচ্চচাপ বলয়ের বায়ুর মেলবন্ধনের ফলেই এই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
তবে ৮-১০ তারিখের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়়বৃৃষটির সম্ভাবনা নেই। আকাশ থাকবে প্রধানত পরিষ্কার ও ঝলমলে। তবে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত খণ্ড খণ্ড মেঘমালার উপস্থিতি ওই সময়ের মধ্যে দেখা গেলেও মূূলত আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। দুপুরের দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০-৩২° সে আশেপাশে ওই সময়ের মধ্যে। এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকায় আবারো ঝড়়বৃৃৃৃষটির সম্ভাবনা তৈরি হতে থাকবে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকায় রাতে একটু শীতের আমেজ দেখা যেতে পারে।
পূর্বাভাস প্রদানকারী:অর্ঘ্য বটব্যাল
তারিখ:৫.৩.২০২০
সময়: ১১ টা ( বেলা)
No comments:
Post a Comment