ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখার প্রভাবে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে বিক্ষিপ্তভাবে নানা জায়গায় ঝড় ও বৃষ্টি। কোনো কোনো স্থানে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি উঠছে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার বা তার অনেক বেশি দক্ষিণবঙ্গে। আগামী ৪৮ -৭২ ঘন্টায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের নানা জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া হুগলি কলকাতা মেদিনীপুর ২৪ পরগণা বর্ধমান বীরভূম সহ নানা জায়গায় বয়ে যেতে পারে ৬০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড়। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়ের গতি উঠতে পারে ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি। উত্তরবঙ্গ, উত্তর পূর্ব ভারতেও বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা বরিশাল সিলেট রাজশাহী ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির জন্য কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাথাচাড়া দিতে পারেনি দিনের তাপমাত্রা কম আছে। রাতে শীত শীত ভাব অনুভব হচ্ছে ভরা এপ্রিল মাসে। বর্তমান সাইন্যাপটিক পরিস্থিতি বিচার করে বলা যায় :
উত্তর পশ্চিম ভারত ও সংলগ্ন পাকিস্তানের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতে একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। এছাড়া গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়়খনড ও ওড়়িশার উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারতের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮-৭২ ঘণ্টায় কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘন্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বজ্রপাতের সতর্কতা ও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হল। আকাশ থাকবে আংশিক থেকে প্রধানত মেঘলা। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯-৩২ ° সে আশেপাশে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। আগামী ৪৮-৭২ ঘণ্টার ভিতর কোথাও কোথাও ঘন্টায় ১০০+ কি মি প্রতি ঘন্টায় বিক্ষিপ্ত ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশ ও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আগামী ২৮-৩০ তারিখের আশেপাশে দ / সংলগ্ন দ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে। এই অঞ্চলে প্রাক মৌসুমী পর্বে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে তা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকে। বর্তমান দ বঙ্গোপোসাগ ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপোসাগরের বিস্তৃত অঞ্চলে সমুদ্র জলতাপমাত্রা বেশি থাকায় ( ৩০-৩২° সে ) । নিম্ন উলম্ব উইণ্ড শেয়ার , উপযুক্ত ধনাত্মক Mjo সহ বেশ কিছু অনুুূকূল পরিবেশ বজায় থাকায় সিস্টেমটির শক্তিবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এপ্রিলের শেষ থেকে মের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বঙ্গোপোসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ / ঘূর্ণিঝড়/ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান GFS , ACCE , IMD GFS , NAVGEM, ICON প্রভৃতি মডেল সহ কিছু মডেল সিস্টেমটির শক্তিবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিস্টেমটি
এখনো পর্যন্ত কোথায় আঘাত করতে পারে সেই বিষয় তেমন স্পষ্ট না হলেও বলা যেতে পারে পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি ও নানা মডেল বিশ্লেষণ করে বলা যেতে পারে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত পোস্ট পরে করা হবে এবং সুষ্পষ্ট গতিপথ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তাই বলা যেতে পারে করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুুটি আমবাঙালির চিন্তাকে জিয়িয়ে রাখবে বলার অপেক্ষা রাখে না।
পূর্বাভাস প্রদানকারী অর্ঘ্য বটব্যাল।
তারিখ: ২৫.৪.২০
সময়: ৪.৩০ মিনিট ( বিকাল )।
No comments:
Post a Comment