দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ৭২ ঘন্টায় বৃষ্টি হলেও আজ থেকেই কমেছে বৃষ্টির দাপট। মৌসুমী বায়ু বর্তমানে দুর্বল রয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে আগামী ৪৮-৭২ ঘন্টায় ঘর্মাক্ত অসস্তিকর পরিবেশ বহন করতে হবে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে বসবাসকারী মানুষদের। আকাশ থাকবে বেশ কিছুটা ঝকঝকে পেঁজা তুলোর মত। মেঘ উড়ে যাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। কখনো কখনো একটু জলভরা মেঘ এসে বিচ্ছিন্নভাবে কিছুটা বৃষ্টি দিলেও তা সবজায়গায় হবেনা। বরঙ যে জায়গায় একটু বৃষ্টি হবে তারপর আবার আদ্র ও অসস্তিকর ঘর্মাক্ত পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে। লাভের লাভ কিছুই হবেনা। সব মেঘ আমাদের উপর দিয়ে চলে যাবে উত্তর ও মধ্যবঙ্গের দিকে। তাই ভারী একনাগাড়ে বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করেই থাকতে হবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলকেই। হা মাঝে মধ্যে দখিনা বাতাস বয়ে যেতে পারে তবে মোটের উপর কিছুই লাভ হবেনা কলকাতা সহ উপকূলীয় এলাকায়। বরং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে পারে ৪৮-৭২ ঘন্টায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২-৩৫°সে আশেপাশে। কেন বর্ষা আসতেও এখন বৃষ্টি কমে গেল ?? এই প্রশ্ন এখন আমবাঙালির। সাধারণত বর্ষাকে সক্রিয় করার জন্য প্রয়োজন হয় ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ বা শক্তিশালী অক্ষরেখা। বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কোনো ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখা নেই। অক্ষরেখাটি উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এখন। ফলে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা দক্ষিণকে ছেড়ে এখন উত্তরবঙ্গের দিকে রয়েছে
। আগামী ৪৮-৭২ ঘন্টায় তাই কলকাতা সহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। গরমে হাঁসফাঁস করতে হবে একপ্রকার। অন্যদিকে বাংলাদেশের বরিশাল খুলনা চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় ৪৮-৭২ ঘন্টায় আদ্র ও অসস্তিকর গরম থাকবে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কয়েকটি অঞ্চলে সাময়িক ভাবে বৃষ্টি হলেও হতে পারে তবে বিশেষ লাভ হবে না।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির দাপট বাড়়বে। সাধারণত মাঝারি থেকে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। আকাশ থাকবে মেঘাচ্ছন্ন। মেঘলা থাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমতে পারে। এই বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে ধ্বস ও হড়পাবানের সতর্কতা দেওয়া হল। ভারী বৃষ্টির কারণে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে ও আকস্মিক বন্যার সতর্কতা দেওয়া হল। আলিপুুরদুুয়়ার, জলপাইগুড়ি দার্জিলিং কোচবিহার মালদা দিনাজপুর সহ বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। এই বৃষ্টির ফলে তিস্তা তোর্সা রায়়ঢাক সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর জল বৃদ্ধি পাবে আরো। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন। এছাড়া বাংলাদেশের সিলেট ময়মনসিংহ রঙপুুর প্রভৃতি অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এখানেও ধ্বস ও হড়পাবানের সতর্কতা দেওয়া হল পার্বত্য অঞ্চলে। ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে বেশ কিছুটা। তবে উত্তরাঞ্চলের থেকে তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তবে উত্তরবঙ্গের থেকে তীব্রতা বেশ কিছুটা কম থাকবে। একটি অক্ষরেখা উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে উত্তর পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ও একটি ঘূর্ণাবর্ত উত্তর পূর্ব ভারতে রয়েছে। তাই ওই সমস্ত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৪৮-৭২ ঘন্টায়। ভালো বৃষ্টি হতে পারে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে।
পূর্বাভাস প্রদানকারী:অর্ঘ্য বটব্যাল
২৪.৬.২০ ( রাত ১০.৩৫ মিনিট)।
No comments:
Post a Comment