বিগত বড়ো বড়ো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ, সৃষ্টিতত্ত্ব শ্রেণীবিন্যাস ও জানা অজানা তথ্য। - Weather of West Bengal

My weather, my bengal.

Tuesday, June 30, 2020

বিগত বড়ো বড়ো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ, সৃষ্টিতত্ত্ব শ্রেণীবিন্যাস ও জানা অজানা তথ্য।

বিগত ১০-১২ বছরের মধ্যে বঙ্গোপোসাগর ও আরবসাগরে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি বড়ো বড়ো ঘূর্ণিঝড়। এদের কীভাবে সৃষ্টি হয়, নাম কিভাবে দেওয়া হয় , বিগত ঘূর্ণিঝড়গুলির প্রকৃত নামের অর্থ , ধ্বংসলীলা ও শ্রেণীভেদ কীভাবে করা হয়েছিল?? সেবিষয়ে সবাই অবগত নয়। আর অবগত থাকলেও তার সংখ্যা কম। আর এইসব  বিষয়গুলি সম্পর্কে ওয়েদার অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে আমি অর্ঘ্য বটব্যাল আলোচনা করব ঘূর্ণিঝড়ের জানা ও অজানা রহস্য নিয়ে। প্রথমেই বলে রাখি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হলেও সব নিম্নচাপ মানেই ঘূর্ণিঝড় নয়। কারণ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে গেলে বেশ কিছু শর্ত লাগে। নিম্নচাপ যদি স্থলভাগের খুব কাছে তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা কমে যায়। একটি নিম্নচাপ সমুদ্রের উপর বায়ুর লীনতাপ সংগ্রহের মাধ্যমেই শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাই সাগরের যত গভীরে নিম্নচাপ তৈরি হবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে তত জলভাগ পেরিয়ে আসতে হবে। তাই উপকূলীয় এলাকায় বা স্থলভাগে কোনো নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে তাথেকে ঘূর্ণিঝড়ের 
সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে সমুদ্রের উপর নিম্নচাপ থাকলেও তা কখনো কখনো শক্তিশালী না হবার কারণ হলো সমুদ্র জলতাপমাত্রা বেশি না থাকা। সমুদ্রে জলের
তাপমাত্রা যদি সামগ্রিক ভাবে কম থাকে সেক্ষেত্রে নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়না বরং দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে সমুদ্রের উপর বায়ুর তীব্রতা যদি বেশি থাকে সেক্ষেত্রে নিম্নচাপ সুগঠিত হতে পারে না । ফলে সংঘবদ্ধ না হতে পারায় উল্লেখযোগ্য শক্তিবৃদ্ধি হয়না। বর্ষাকালে
পূবালী বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকলে মেঘমালা সংঘবদ্ধ হবার চেয়ে একপাশে সরিয়ে দেয় তাই সুগঠিত হবার চেয়ে খাপছাড়া প্রকৃতির নিম্নচাপ তৈরি হয়। অন্যদিকে মৌসুমী স্রোত  শক্তিশালী থাকলে সমুদ্রের উপর বায়ুর প্রবাহ বেশি থাকে তাই নিম্নচাপ জলের উপর বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। বর্ষাকালে উল্লেখযোগ্য ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপোসাগরে ও আরবসাগরে তৈরি হতে পারে না। প্রতিকূল পরিবেশ বজায় থাকায় বেশিরভাগ সময়। অন্যদিকে মৌসুমী পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তীব্র হয় উভয় সাগরে। কারণ ওই সময়ে সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলে  উইণ্ড শেয়ার কম থাকায় সমুদ্রের উপর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। সমুদ্র জলের তাপমাত্রা বেশি থাকায় পরিচলন ও লীনতাপ সংগ্রহের মাধ্যমেই শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় সমুদ্রের উপর একটি বায়ুমণ্ডলীয়
শূন্যস্থান ( ঘূর্ণাবর্ত বা লঘুচাপ ) থেকে ধীরে ধীরে। বর্ষা আসার আগে ও বর্ষা যাবার সময় উত্তর ভারত মহাসাগরে উল্লেখযোগ্য ঘূর্ণিঝড়
তৈরি হয়ে থাকে। বিগত যে সমস্ত বড়ো বড়ো ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে তার প্রায় সবটাই এপ্রিল-মে অথবা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। 
এবার আসা যাক সাইক্লোনের নামকরণ নিয়ে। 
২০০৪ সাল থেকে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। প্রথম লিস্টে ৮ টি দেশ ৮ টি আলাদা আলাদা নামকরণ করে থাকে। অর্থাৎ মোট নাম ছিল ৬৪ টি। এর মধ্যে এক নাম দুবার ব্যবহার করা যায় না। দেশের নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে  ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশের প্রথম অক্ষর B। তাই ওরা প্রথম নাম দিয়েছিল ( প্রথম গৃহীত হয়)। তারপর ভারত ( I) এইভাবে শেষ নাম দেওয়া হত থাইল্যান্ডের (T)। ২০০৪ এর লিস্টে প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল অগ্নি ( বাংলাদেশ) শেষ নাম ছিল আম্ফান ( থাইল্যান্ডের দেওয়া )। এছাড়াও নাম দিত পাকিস্তান ওমান মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা সহ বেশ কিছু দেশ। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০২০ সালে চালু হয় নতুন লিস্ট
এখানে বর্তমানে ১৩ টি দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে। প্রদত্ত লিস্টে দেখা যাচ্ছে ১৩ টি দেশ ৪ টে করে নাম দিয়েছে অর্থাৎ ৫২ টি নাম দেখা
যাচ্ছে। নতুন সংযুক্ত দেশগুলি হল ইয়েমেন,
কাতার , আমিরশাহী ও সৌদি আরব। ঠিক পুর্বের ন্যায় নামকরণ পরপর করা হবে। এই লিস্টের প্রথম ঘূর্ণিঝড় হলো নিসর্গ। যা আরবসাগরে তৈরি হয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহে
। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম গতি এবং তারপর
নিভার। এই ঘূর্ণিঝড় কবে তৈরি হবে তা কেউ জানেনা এখনো। তাই অহেতুক ভয় পাবেন না।
উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে চূড়ান্ত ভাবে ভারতীয় মৌসম বিভাগ।
এবার আশা যাক ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে। একটি নির্দিষ্ট বায়ুর গতির শর্ত পূরণ করতে হবে যদি কোনো নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ের
তকমা ও নাম পেতে হয়। একটি সাধারন ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি কমপক্ষে হতে হবে 
তিন মিনিট ৬৩ কিলোমিটার বা তার বেশি। সর্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। একটি সাধারন ঘূর্ণিঝড়ের উদাহরণ হলো ঘূর্ণিঝড় কোমেন। 
ঘূর্ণিঝড় কোমেন নামটি দিয়েছিল থাইল্যান্ড।
থাই ভাষায় কোমেনের প্রকৃত অর্থ মূল্যবান পাথর (Precious rock)। কোমেন ঘূর্ণিঝড়ের 
বাতাসের গতি ছিল তিনমিনিট সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার। এবং এক মিনিট ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। বাতাসের সর্বোনিম্ন চাপ ছিল ৯৮৬ মিলিবার। ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশে
( চট্টগ্রামে) আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় কোমেন।
এর প্রভাবে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। 
ভারতীয় মৌসম ভবন প্রদত্ত ঘূর্ণিঝড় শ্রেণীবিন্যাস স্তরের সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী
পর্যায়ে রয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় সিভিয়ার সাইক্লোন। এই ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি থাকে তিনমিনিট সর্বোচ্চ ৮৯-১১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। দুটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের উদাহরণ হলো ঘূর্ণিঝড় আয়লা ও ঘূর্ণিঝড় মোরা। 
সাইক্লোন আয়লা নামটি দিয়েছিল মালদ্বীপ।
যার আক্ষরিক অর্থ হল ডলফিন নামের এক ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী। ঘূর্ণিঝড় আয়লার সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা তিনমিনিট। এবং ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এক মিনিট। এই ঘূর্ণিঝড় ২০০৯ সালের ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে আঘাত করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে। তছনছ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা। বাতাসের সবথেকে কম চাপ ছিল ৯৬৮ মিলিবার।
ঘূর্ণিঝড় মোরা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ২০১৭ সালের মে মাসে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে। মোরা নামটি দিয়েছিল থাইল্যান্ড যার অর্থ সমুদ্র তারা বা তারা মাছ ( Sea star). এই ঘূর্ণিঝড় ছিল Category 1 ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতি তিন মিনিট ছিল ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ও এক মিনিট ছিল ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। চট্টগ্রাম ও সংলগ্ন এলাকা তছনছ করে দেয়। 
সিভিয়ার সাইক্লোনের থেকেও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হলো অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ( Very severe Cyclone). ভারতের মৌসম ভবনের প্রদত্ত শ্রেনীভেদে তিন মিনিট বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১৮-১৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে হলেই তবে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট উল্লেখযোগ্য অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়গুলি হল ঘূর্ণিঝড় ভরোদা , ঘূর্ণিঝড় বুলবুল , ঘূর্ণিঝড় গাজা। 
ঘূর্ণিঝড় ভরোদা নাম দেয় পাকিস্তান যার আক্ষরিক অর্থ হল লাল গোলাপ ( Red rose ).
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ভরোদা। ( Category 2 হ্যারিকেনের সমতুল্য)
বাতাসের সর্বোচ্চ গতি তিন মিনিট ছিল ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় এবং এক মিনিট ছিল ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। সবথেকে কম বাতাসের চাপ ছিল ৯৭৫ মিলিবার। 
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় গাজা। গাজা নাম দেয় শ্রীলঙ্কা যার অর্থ হল হাতি ( Elephant).
বাতাসের সর্বোচ্চ গতি তিন মিনিট ছিল ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ও এক মিনিট ছিল ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। বাতাসের সবথেকে কম চাপ ছিল ৯৭৬ মিলিবার। তুমুল ঝড় ও বৃষ্টি ওই সময় হয়েছিল তামিলনাড়ুর বেশ কিছু জায়গায়। 
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুুলবুুল। বুুলবুুল একটি সুন্দর দেখতে পাখি। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল পাকিস্তান। বায়ুর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার তিন মিনিট এবং এক মিনিট ছিল ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। তছনছ করে দিয়়েছিল দুই বাংলার উপকূলীয় এলাকার বেশ কিছু জায়গা। 
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আরো কিছু উদাহরণ হলো ঘূর্ণিঝড় থানে, ঘূর্ণিঝড় তিতলি। 
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের থেকে আরো বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় যখন বাতাসের গতি তিন মিনিট ঘন্টায় 
১৬৬-২২০ কিলোমিটার থাকে তাকে অতি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় বা Extremely Severe Cyclone বলা হয়ে থাকে মৌসম ভবন প্রদত্ত স্কেলে। ঘূর্ণিঝড় ফাইলিন, ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ , ঘূর্ণিঝড় নিলোফার হলো অতি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। 
ঘূর্ণিঝড় ফাইলিন ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ওড়়িশার গোপালপুুরে আছড়ে পড়ে ঘন্টায় প্রায় ২১৫ কিলোমিটার গতিতে। এক মিনিট ছিল ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। ফাইলিন নাম দেয় থাইল্যান্ড। যার অর্থ নীলকান্তমনি। (Sapphire)। দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। তছনছ করে দেয় অন্ধ্র, ওড়়িশা ও সংলগ্ন এলাকা। পশ্চিমবঙ্গে এরজন্য নষ্ট হয় দুুরগাপুুজো। 
ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ আছড়ে পড়েছিল অন্ধ্রে ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে। এটি ছিল Cat 4 হ্যারিকেনের সমতুল্য ঘূর্ণিঝড়। হুুদহুুদ একটি পাখির নাম যাকে বাংলাদেশে মোহনচূূড় বলা হয়। এটি ইজরায়েলের জাতীয় পাখি। এই ঘূর্ণিঝড়়ে অন্ধ্র ও ওড়়িশার বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘূর্ণিঝড় নিলোফার হয় ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে। ঘূর্ণিঝড় নিলোফার শব্দের অর্থ হল শাপলা ফুল ( Water lily )। নাম দেয় পাকিস্তান।
এটি ছিল Category 4 হ্যারিকেনের সমতুল্য ঘূর্ণিঝড়। সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২০৫ ও ২১৫ কিমি। এর প্রভাব পড়ে ভারতের পশ্চিম উপকূল পাকিস্তান ও ওমানে। এই তিনটি ঝড় ছাড়া আরও দুটি এই ধরনের ঝড় হল ঘূর্ণিঝড় মহা, সিডর ও ফনী। 
অতি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের থেকেও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হলো সুপার ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে তিন মিনিট বাতাসের গতি হয় কম করে ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি। এই ঘূর্ণিঝড় Category 5 হ্যারিকেনের সমতুল্য। সুপার ঘূর্ণিঝড়ের উদাহরণ হলো ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
⭐ ( আমফান শব্দের মূল অর্থ হল আকাশ )⭐
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ২০২০ সালের ২০ মে আঘাত করে পশ্চিমবঙ্গে। আমফান হলো একটি সুুপার
ঘূর্ণিঝড়। যদিও উপকূলে ঢোকার সময় শক্তি হ্রাস করে। ১৮ মে সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২৪০ ও ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। Jtwc অনুসারে ছিল ২৬০-২৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় এবং সর্বোচ্চ ঝাপটা ছিল ঘণ্টায় ৩২৫-৩৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। আমফান শব্দের অর্থ হল আকাশ। এই নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড। আমফান ভারতের পূর্ব উপকূলের অন্যতম শক্তিশালী ও ক্ষতিকারক ঘূর্ণিঝড়। এটি সমুদ্রে ছিল সুপার ঘূর্ণিঝড় হিসাবে। এছাড়া ১৯৯৯ সালের ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়, বাংলাদেশের ভোলায় আছড়ে পড়া ভোলা ঘূর্ণিঝড় ছিল সুপার ঘূর্ণিঝড়। ৬৩ কিলোমিটার এর নীচে ৩১-৫০ কিলোমিটার বাতাসের গতি থাকলে সেটি সুষ্পষ্ট নিম্নচাপ/ গভীর নিম্নচাপ ও ৫২-৬২ কিলোমিটার ঘণ্টা হলে সেই সিস্টেম অতি গভীর নিম্নচাপে অভিহিত করা হয়। 
তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ:অর্ঘ্য বটব্যাল
গ্রাফিক্স:অর্ঘ্য বটব্যাল
অ্যাডমিন, ওয়েদার অফ ওয়েস্টবেঙ্গল
তারিখ: ৩০.৬.২০
সকাল: ৭ টা। 

No comments:

Post a Comment

Weather Prediction Model

Comming Soon......