সাধারণত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহকে বলা হয়ে থাকে পোস্ট মনসুন সাইক্লোন সিজেন। মূলত অক্টোবর ও নভেম্বর মাস হলো পোস্ট মনসুন ঘূর্ণিঝড়ের চরমতম মাস। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষের মধ্যে পশ্চিম ভারত থেকে ধীরে ধীরে মৌসুমী বায়ু বিদায় নেওয়া শুরু করে। মৌসুমী অক্ষরেখা নষ্ট হয়ে যায়। এবং সূর্যরশ্মি ধীরে ধীরে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে। ইন্টার ট্রপিক্যাল কনভারজেন্স জোন ভারতের মূল ভূখণ্ডের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সেপ্টেম্বর মাসে অনেকটাই নীচের দিকে নেমে আসে এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করতে শুরু করে। এবং পরবর্তীতে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে সরে যায়। উত্তর পশ্চিমা বাতাস নীচের দিকে নামতে থাকায় এবং নীচের দিকে পূবালী বাতাসের প্রাধান্য থাকায় পুবালী ও পশ্চিমা বাতাসের সংঘর্ষের ফলে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগর গাল্ফ অফ থাইল্যান্ড এই সমস্ত অঞ্চল নিম্নচাপ উৎপাদন ক্ষেত্রে পরিণত হয় অক্টোবর ও নভেম্বরে। অন্যদিকে এই নিম্নচাপ পরবর্তী পর্যায়ে সমুদ্রের উপর অনেকদিন ধরে থাকে তার কারণ হিসাবে বলা যায় উইণ্ড শেয়ার কমে যাওয়ার জন্য স্থবিরতা প্রাপ্ত হয় ও পাশাপাশি সুগঠিত হতে শুরু করে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের নীচের দিকে সমুদ্র জলের তাপমাত্রা বেশি থাকায় শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। অনেক সময় মৌসুমী বায়ু আংশিক বিদায় নেওয়ার সময়েই দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর বা আন্দামানে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এই ঘূর্ণিঝড় গুলি মৌসুমী বায়ুর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য ও ইস্টার্লি থাকলেও দুর্বল প্রকৃতির থাকার জন্য সুগঠিত আকার গ্রহণ করে ও পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে ও তাপ গ্রহণ করে মারাত্মক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে নেয়। অক্টোবরের প্রথম ১০-১২ দিনের মধ্যে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলি ওড়িশা ও অন্ধ্রের দিকে অগ্রসর হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেমন ফাইলিন ও হুদহুদ। এবং পরবর্তীতে সিস্টেম তৈরি হলে অক্টোবরের ১৫ থেকে নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে সরাসরি আঘাতের সম্ভাবনা থাকে ঘূর্ণিঝড়ের এবং পরবর্তীতে অন্ধ্র ও তামিলনাড়ুর দিকে অগ্রসর হবার সম্ভাবনা থাকে। ( নভেম্বরের ১৫ থেকে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে)। এবার প্রশ্ন হলো এটি কেনো হয়?? তার প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের দেখতে হবে ৩০০ ও ২০০ এইচ পি এর উইণ্ড শেয়ার। আমরা জানি মৌসুমী বায়ু প্রত্যাগমণের সময়ে উপর থেকে পশ্চিমা বাতাস বা Westerly jet নামতে শুরু করে এবং বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে তখনও ইস্টার্লি জেট প্রবাহিত হয়। এই ইস্টার্লি মায়ানমার বা ইন্দোচায়না অঞ্চলের উপর থাকা উচ্চচাপের উপর নির্ভর করে এই উচ্চচাপ অক্টোবরে বেশ কিছুটা মায়ানমার ও সংলগ্ন এলাকা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে যার জন্য নিম্নচাপটি ওড়িশা অন্ধ্রের পথ ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এই হাইপ্রেশার যদি সাময়িক ভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে পশ্চিমে সরে আসে তখন অন্ধ্রপ্রদেশে যায় এবং যদি স্বাভাবিকের চেয়ে পিছনে সরে আসে তখন ওড়িশাতে আঘাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে ওয়েস্টার্লি জেট বায়ু যদি অনেকটা নীচে নেমে আসে তখন উত্তর উত্তর পূর্ব বা উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ( যেমণ - তিতলি)। অন্যদিকে দুটি বিপরীত দিকে অবস্থিত উচ্চচাপ বলয় যদি শক্তিশালী হয় ( মৌসুমী প্রত্যাগমণ কালে সৃষ্ট স্বাভাবিক উচ্চচাপ ) ও মায়ানমার উচ্চচাপ সেক্ষেত্রে সোজা উপরের দিকে উঠে যায় স্থলভাগ অতিক্রমের পর। এছাড়া শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আগমণ হলে সিস্টেমকে উপরের দিকে তুলতে বাধ্য করে। অন্যদিকে অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে মায়ানমার উচ্চচাপ বলয় কিছুটা পূর্বের দিকে সিফট করে। এবং পূবালী বাতাস বঙ্গোপসাগরের অনেক জায়গা থেকে অপসারিত হয় এবং পশ্চিমা বাতাস নীচে নেমে আসে তার জন্য নিম্নচাপ উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবার পর পরবর্তী পর্যায়ে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নেয়। প্রাথমিক ভাবে নীচের দিকে সাউথ ইস্টার্লির প্রভাবে ও হাই প্রেশারের অ্যাক্সিস বরাবর উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে বাঁক নেয় ও পরবর্তী পর্যায়ে উত্তর ও পশ্চিমা বাতাস ও বিপরীত উচ্চচাপের সক্রিয়তার জন্য উত্তর পূর্ব বা পূর্ব উত্তর পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি আঘাত করে (সিডার )। এর পরবর্তী পর্যায়ে ওয়েস্টার্লি জেট প্রায় উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত নেমে আসে এবং আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। মায়ানমার উচ্চচাপ বলয় বেশ খানিকটা নীচের দিকে নামতে থাকে। যার জন্য ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ অন্ধ্র, তামিলনাড়ু বা শ্রীলঙ্কার দিকে অগ্রসর হয় নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বর মাসে। এবার প্রশ্ন হলো বঙ্গোপসাগরে প্রতিবছরই কি সমান পরিমাণ ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়?? উত্তরটা হলো কোনো বছর অনেক বেশি ঘূর্ণিঝড় ও শক্তিশালী ঝড় তৈরি হয় আবার কোনো বছর একদমই কিছু হয়না। এর কারণ হলো বৃহত্তর জলবায়ুগত নিয়ন্ত্রক। এনসো পরিস্থিতি ও ইণ্ডিয়ান ওশেন ডাইপোল। এ প্রসঙ্গে আমরা প্রথমেই চলে যাব ২০১৩ ও ২০১৪ সালের কথায়।
প্রথম চিত্রটি হলো ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে Indian Ocean dipole এর Time series graph. দেখা যাচ্ছে ২০১৩ সালের মে মাস থেকেই ভারত মহাসাগরের পূর্ব প্রান্তে জলতল তাপমাত্রা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে জলতল তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে স্বরূপ ঋনাত্মক জলতল তাপমাত্রার বিচ্যুতি বাড়ছে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত -(০.২°সে থেকে -০.৬°সে ) থাকার জন্য দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর, গাল্ফ অফ থাইল্যান্ড, আন্দামান সাগরে পরিচলন পক্রিয়া যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছিল যার জন্য ঘূর্ণিঝড় ফাইলিন, লহর, মাদী হেলেন সহ বেশ কিছু ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল অক্টোবর ও নভেম্বরে পরপর। অন্যদিকে ফাইলিন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছিল। অন্যদিকে ২০১৩ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্র জলতল তাপমাত্রার তারতম্য বিচার করতে গিয়ে দেখা যায় (JJA:- June+July+ August) এর এনসো ৩.৪ এর মান ছিল -০.৪°সেলসিয়াস, (JAS:- July+August+ September ) এর এনসো ৩.৪ সূচক ছিল -০.৪°সে (ASO -August+September+ October ) এর এনসো সূচক ছিল -০.৩°সে এবং (SON- September October November ) এর এনসো সূচক ছিল -০.২°সেলসিয়াস। অর্থাৎ জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ঋনাত্মক এনসো বিরাজমান ছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। যার অর্থ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পশ্চিম দিক বেশি উত্তপ্ত ছিল। সামগ্রিক ভাবে মাঝারি লা নিনা পরিস্থিতি বিরাজ করেছে ২০১৩ সালে। ঋনাত্মক আই ও ডি ও এনসো থাকার জন্য বঙ্গোপসাগরে উল্লেখযোগ্য সিস্টেম চোখে পড়েছে পোস্ট মনসুন সিজেনে। এই কারণেই দুর্গাপূজার আনন্দ মাটি করেছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পিলিন। ওড়িশায় আঘাত করলেও বিরাট ক্লাউড ব্যাণড ও জলীয় বাষ্পের সংযুক্তির প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া ঘটিয়ে ছিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে। এবার আসা যাক বর্তমান এনসো আই ও ডি এবং ভবিষ্যত নিয়ে।
বর্তমানে এনসো নিরপেক্ষ বা নিউট্রাল রয়েছে। পশ্চিম ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলতল তাপমাত্রার বিচ্যুতি রয়েছে ০.০°সে (Nino 3.4 Index) বর্তমান মাস থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ধীরে ধীরে আরো উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ইকুয়েটর অঞ্চল লাগোয়া মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর শীতল হচ্ছে। আগষ্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর আরো উত্তপ্ত হবে এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল শীতলতর হতে থাকবে এই পরিস্থিতি হতে থাকলে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে মাঝারি থেকে তীব্র্রের দিকে লানিনা পরিস্থিতি তৈরি হবার আশঙ্কা রয়েছে। যা বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকা কে সক্রিয় ও অতি সক্রিয় করে তুলতে পারে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেমবরের মধ্যে (September to December). যার জন্য একাধিক ক্রান্তীয় ঝঞ্ঝা নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়়ের সম্ভাবনা রয়েছে ওই সময় বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ওই সময়ের মধ্যে। দুুুুর্গাপূজার সময়়েও হয়তো ২০২১ সালে বড়ো ধরণের ঘূর্ণিঝড়়ের আশঙ্কা উড়িয়়ে দেওয়া যাাচ্ছেনা যদি এই পরিস্থিতি বিরাজ করে। ঝড় ঝঞ্ঝা ও Heavy to very heavy rain, Rough sea সহ সমূহ Hazards condition ও Back to back system Impact পেতে পারে পূর্ব ভারতের উপকূলীয় এলাকা ও বাংলাদেশ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেমবরের মধ্যে।
উপরের চিত্র দুটির প্রথমটি হলো অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের সম্ভাব্য এনসো চিত্র। এই দুটি চিত্র মাল্টিমডেল ও মাল্টি ওয়েদার অর্গানাইজেশন এর সমীক্ষা ও পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অক্টোবরের এনসো পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি আবহাওয়া সংস্থা ও মডেল ঋনাত্মক এনসো থেকে লা নিনার উদ্ভব তুলে ধরছে। Bureau of Australian meteorology এর সমীক্ষায় অক্টোবর মাসে শক্তিশালী লা নিনা হবার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। Sea surface temperature anomaly সম্ভাব্য থাকতে পারে -১.৩°সে। Ecmwf model অনুযায়ী প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী Sea surface temperature anomaly থাকতে পারে -০.৩°সে অর্থাৎ দুর্বল লা নিনা। NOAA এর পর্যালোচিত বিশ্লেষণ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সমুদ্র জলতল তাপমাত্রার বিচ্যুতি থাকতে পারে -১.৩°সে। এছাড়াও গড় Nino 3.4 সূচক অক্টোবর মাসে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে -০.৬°সে এর আশেপাশে অর্থাৎ মধ্যম ঋনাত্মক এনসো থেকে লা নিনা উদ্ভব মতো পরিস্থিতি। সুতরাং বলা যায় অক্টোবরে ঋনাত্মক এনসো বা লা নিনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বর মাসের সম্ভাব্য ENSO চিত্রে দেখা যাচ্ছে Bureau of Australian meteorology এর মত অনুসারে মধ্যম থেকে শক্তিশালীর দিকে লা নিনা পরিস্থিতি উদ্ভব হতে পারে। জলতল তাপমাত্রার বিচ্যুতি -১.২° সেলসিয়াস। Ecmwf এর মত অনুসারে দেখা যাচ্ছে জলতল তাপমাত্রার বিচ্যুতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে -০.৪°সে অর্থাৎ ঋনাত্মক এনসো বা দুর্বল লা নিনা। NOAA এর মতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলতল তাপমাত্রার বিচ্যুতি যথেষ্ট বাড়বে ও -১.৩/ -১.৪°সে হবার সম্ভাবনা রয়েছে যা মধ্যম থেকে শক্তিশালী লা নিনার উদ্ভব তুলে ধরছে। সর্বোমোট গড় নিনো ৩.৪ সূচক থাকতে পারে -০.৭°সে অর্থাৎ ঋনাত্মক এনসো থেকে লা নিনা পরিস্থিতি।
উপরের চিত্র দুটিতে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের সম্ভাব্য আই ও ডি পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে। ECMWF model অক্টোবর ও নভেম্বরে ঋনাত্মক আই ও ডি পরিস্থিতি ইণ্ডডিকেট করছে। Bureau of Australian meteorology এর মতে অক্টোবর ও নভেম্বরে আই ও ডি সূচক ঋনাত্মক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অল ওভার মডেল থেকে উঠে আসছে অক্টোবর মাসে আই ও ডি থাকতে পারে -০.৪°সে ও নভেম্বর মাসে -০.৩°সে। ঋনাত্মক আই ও ডি ও লা নিনা বা লানিনা সদৃশ পরিস্থিতি তৈরি হবার জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের ঘনঘন ক্রান্তীয় ঝঞ্ঝা, নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়়ের সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ভারতের পূর্ব উপকূলে Strong tropical system threat, অতি বৃষ্টি , ঝড় জলোচ্ছ্বাস ও ঘন ঘন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। ডিসেম্বর মাসেও বঙ্গোপসাগরে ক্রান্তীয় ঝঞ্ঝা হতে পারে।
Negetive IOD, ENSO / LA NINA Development, Back to back tropical threat, Strong tropical threat, Tropical disturbance, Massive rain, September to December , Main impact October and November, East coast of India and Bangladesh.
8.7.2021
No comments:
Post a Comment