নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বর্তমানে সামান্য কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে সুষ্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যা ৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ তামিলনাডুর উপকূল অতিক্রম করবে। অন্যদিকে সুদূর তামিলনাডু -শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে থাকা সুষ্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। যার প্রভাবে ওড়িশা অন্ধ্রের উপকূলে ৪৮ ঘন্টায় কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিম্নচাপ তামিলনাডু উপকূল অতিক্রম করলেই নিম্নচাপ অক্ষরেখার খেলা খতম হয়ে যাবে। তামিলনাডু উপকূলে থাকা নিম্নচাপের পরোক্ষ কিছুটা প্রভাব ওড়িশা-অন্ধ্রে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রৌদ্রজ্জ্বল ঝকঝকে আবহাওয়া বিরাজ করবে এবং সকাল ও রাতের দিকে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়বে। অন্যদিকে নিম্নচাপ তামিলনাডু মুখী হয়ায় ও অক্ষরেখা ওড়িশা-অন্ধ্রের দিকে থাকায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সিস্টেমটির কোনো প্রভাব পড়বেনা অন্যদিকে উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ার জন্য উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে শীতল উত্তরে বাতাসের প্রবাহ বাড়বে। তবে উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে সরতে থাকা ঝঞ্ঝার সামান্য কিছুটা প্রভাব সিকিম ও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ী এলাকায় দেখা যেতে পারে। হালকা ফুলকো মেঘলা ও বিক্ষিপ্ত কিছুটা বৃষ্টি বা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে যে বৃষ্টি বা তুষারপাত হবেই তার সুষ্পষ্টতা নেই হতেও পারে নাও পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব আগামী ৪৮-৭২ ঘন্টায় সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে গেলে ও নিম্নচাপ তামিলনাডু উপকূলে ঢুকে গেলে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রার পতন শুরু হবে। আগামী ১২ তারিখ ও তার পর থেকে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। সপ্তাহের শুরুতেই ঠাণ্ডার অনুভূতি বেড়ে যাবে বেশ খানিকটা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে। আসন্ন সপ্তাহে কলকাতার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৬°সে আশেপাশে নেমে যেতে পারে। হাওড়ার আমতার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১৪-১৬°সে আশেপাশে নেমে যাবে। পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা ১২-১৪°সে আশেপাশে নেমে যাবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতেও ভালো রকম তাপমাত্রা নামবে। তারজন্য ১২ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে মরশুমের প্রথম জব্বর ঠাণ্ডা আসতে চলেছে। মূলত রৌদ্রজ্জ্বল শুষ্ক ও শীতল আবহাওয়া বিরাজ করবে। কমবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও তারজন্য আশা করছি সামনের সপ্তাহে পাখা ঘোরা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হতে পারে।
১১/১০/২০২২
No comments:
Post a Comment