নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে কিন্তু এরই মধ্যে আবারও সুদূর সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ঘূর্ণাবর্ত দেখা যাচ্ছে। এই ঘূর্ণাবর্ত নিয়েই কি তৈরি হচ্ছে আবার আশঙ্কার ভাঁজ ? প্রথমত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে গভীর সাগরে এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে। নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমুদ্র জলতল তাপমাত্রা রয়েছে, রয়েছে অনুকূল উইণ্ড শেয়ার ও ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভবনের কিছুটা অনুকূল পরিবেশ এছাড়াও যে অঞ্চলে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে তা আন্ত ক্রান্তীয় অভিসৃতি অঞ্চলের কাছে যার জন্য সুমাত্রা দ্বীপের কাছে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তী পর্যায়ে ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছ দিয়ে গতিপথ হবার সম্ভাবনা থাকায় তা আরো কিছুটা ঘনীভূত হতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের কি হবে? এই সবে মাত্র ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে এখনো ৪৮-৭২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তাই সুষ্পষ্ট গতিপথ বিশ্লেষণ করতে আরো কিছুটা ধৈর্য ধরতেই হবে। তবে আসন্ন দিনে আরব উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় হবে এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় উচ্চচাপ বলয় সক্রিয় হবার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা জেট বাতাস নেমে আসার জন্য সিস্টেম তামিলনাডু ও তৎসংলগ্ন এলাকার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বা এর মধ্যে কোনো পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এলে সিস্টেমটি কিছুটা উপরে উঠে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বা অন্ধ্র -তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে সিস্টেম আসার সম্ভাবনা আপাতত কম। তবে যেহেতু সিস্টেম সুগঠিত হতে এখনো দেরি রয়েছে তাই গতিপথ পরিবর্তন হলেও হতে পারে। ৬-৭ নভেম্বর ২০২২ এর আশেপাশে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এবং ৯-১২ নভেম্বরের মধ্যে সিস্টেম স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। সিস্টেম অন্ধ্র বা তামিলনাডুর দিকে গেলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে তেমন কিছু হবেনা। কেবল একটু আউটার ব্যাণ্ডের মেঘ ঢুকবে ওইটুকুই। বিশেষ কিছু পরিবর্তন হলে পরবর্তী পর্যায়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং নিম্নচাপ নিয়ে আতঙ্কিত হবার এখনও সময় আসেনি। তবে নিম্নচাপটি সুষ্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনাও একটা রয়েছে।
৫/১১/২০২২ (সকাল)
No comments:
Post a Comment