নিজস্ব সংবাদদাতা: EL NINO যার ইংরেজি মানে দাঁড়ায় ছোট্ট ছেলে। পশ্চিম ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জলতল তাপমাত্রার পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এল নিনোর পটভূমি। ছোট ছেলেরা যেমন চঞ্চল থাকে ঠিক সেরকম ভাবেই এলনিনো চলাকালীন প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার খামখেয়ালি পণা শুরু হয় যার মাশুল গুনতে হয় চাষী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে। এলনিনো চলাকালীন সময়ে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের জলতল তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয়ে যায়। তারজন্য পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর , বঙ্গোপসাগরে সামগ্রিক শুষ্কতা, শীতলতা ও উচ্চচাপ ন্যায় প্রবণতা বিগত বছরের তুলনায় বেশি থাকে। উইণ্ড কনভারজেন্স এর তুলনায় ডাইভারজেন্স বেশি হয় এবং বায়ুর অধগমণ দেখা যায়। অন্যদিকে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ প্রবণতা দেখা যাওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় বৃষ্টি বেশি হয়ে থাকে। এই এলনিনো তৈরি হওয়া মানে পশ্চিমবঙ্গের চাষীভাইদের সর্বনাশ শুরু হওয়া। প্রচুর পরিমাণে দাবদাহ ও তাপপ্রবাহ সৃষ্টি করে থাকে এলনিনো। তাপপ্রবাহ ও শুষ্কতার কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের চাষীদের প্রচুর পরিমাণে বিকল্প জলসেচ ব্যবস্থা ও জল সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি ও নিম্নচাপ কম হয়ে থাকে এল নিনো থাকাকালীন অধিকাংশ সময়ে বিশাল বৃষ্টির ঘাটতি ও ক্ষরা হয়ে থাকে বর্ষাকালে। পরিমণ্ডল প্রচুর পরিমাণে উত্তপ্ত হয়ে থাকায় বেশিরভাগ ঝড়বৃষ্টি কম হলেও তা বিধ্বংসী হয়ে থাকে। সমগ্র দিক থেকে চাষাবাদের ক্ষতি করে এলনিনো। ২০২৩ সালেও এলনিনো আসতে চলেছে তাই পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ও চাষাবাদে বড়ো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
২২ জানুয়ারি ২০২৩
No comments:
Post a Comment