নিজস্ব সংবাদদাতা: বেশ অসস্তিকর গরম শুরু হয়েছে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। সমুদ্র থেকে হুড় হুড় করে ঢুকছে জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস সাথে রোদের উপস্থিতি চড়া হবার জন্য গরম ও অসস্তি দুই বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। হাওড়া হুগলি কলকাতা ২৪ পরগণা মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চল গরমে ভেপে যাচ্ছে। অন্যদিকে এই ধরনের অসস্তিকর ঘর্মাক্ত গরমের মাঝখানেই তৈরি হয়েছে ঝড়বৃষ্টির টুইস্ট। ২৯ মার্চ ২০২৩ সকাল থেকে লক্ষ্য করলে একটা জিনিষ দেখা যাচ্ছে যে সামুদ্রিক আদ্র দখিনা বাতাস তার গতি বাড়িয়ে নিয়েছে। সামুদ্রিক আদ্র বাতাস তখনই গতি বাড়ায় যখন বায়ুর চাপের তারতম্য বেশি হয়। দক্ষিণবঙ্গের উপর আপাতত একটি ঝড়বৃষ্টির অনুকূল সিস্টেম তৈরি হয়েছে আর তা হলো লোয়ার লেভেল উইণ্ড ডিসকন্টিনিউটি। উইণ্ড ডিসকন্টিনিউটি অঞ্চল হলো এক ধরনের নিম্নচাপ ক্ষেত্র যেখানে দুটি বিপরীত মুখী বাতাস মিলিত হয়। ঝাড়গ্রাম মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি বর্ধমান নদীয়া হয়ে মুর্শিদাবাদ -নদীয়া বর্ডার দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে বায়ুর সম্মিলন অঞ্চল যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। এই বায়ু সম্মিলন অঞ্চল সক্রিয় হয়ে ওঠার জন্য ২৯ মার্চ ২০২৩ দুপুরের পর থেকে রাতের মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম হাওড়া হুগলি কলকাতা নদীয়া ২৪ পরগণা পুরুলিয়া বাঁকুড়া বর্ধমান মুর্শিদাবাদ জেলায়। কোথাও কোথাও ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড় বয়ে যেতে পারে। বাতাসের গতি আঞ্চলিক ভাবে কিছু কিছু যায়গায় ৮০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। এছাড়া হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ, বজ্রপাত ও বিক্ষিপ্ত ভাবে শিলাবৃষ্টি। সুতরাং দুপুরের পর বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে দেখলেই সতর্কতা গ্রহণ করুন। পশ্চিমাকাশে ঘনকালো মেঘ দেখলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসুন ও বিদ্যুৎ এর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন।
২৯ মার্চ ২০২৩
No comments:
Post a Comment