১২ এপ্রিল ২০২৩
নিজস্ব সংবাদদাতা: ১১ এপ্রিল ২০২৩ দুপুর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তৈরি হলো এক অদ্ভুত ধরনের ঘূর্ণি। যা মাটি থেকে বেশ উচ্চতায় উঠেছিল। চারপাশ থেকে ডাস্ট বা ধূলো টেনে নিয়ে যেন তৈরি হয়েছিল ধূলিস্তম্ভ। কি ভয়ঙ্কর ধূলিস্তম্ভ তা দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন আমজনতা। নিয়ে নেয় ভিডিও। গরমকালে এই ধরনের বৃষ্টিহীন যে ধূলিস্তম্ভ তৈরি হয় তাকে বলা হয় ডাস্ট ডেভিল। এই ধরনের ঘূর্ণি যেন টর্নেডোর এক রূপ। তবে টর্নেডোর সঙ্গে এর তফাৎ হলো টর্নেডোতে ভয়াবহ ধরনের ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়ে থাকে। ডাস্ট ডেভিল পরিষ্কার রৌদ্রজ্জ্বল গরম আবহাওয়ায় তৈরি হয়। কোনো ঝড়বৃষ্টি হয়না তবে শুষ্ক আবহাওয়ায় চারপাশ থেকে ডাস্ট, পাথর কাছে থাকা ছোট বড়ো জিনিস টেনে নিয়ে ঘুরতে থাকে। সাধারণ ভাবে একটি ছোট অঞ্চলে হঠাৎ বায়ুর চাপ অত্যধিক কমে গেলে ডাস্ট ডেভিল তৈরি হয়ে থাকে। উষ্ণ বাতাস শীতল বাতাসের মধ্যে দিয়ে ঘূর্ণায়মান ভাবে উত্থিত হয় কোনো একটি ছোট অঞ্চলে। পরিণামে তৈরি হয় আবর্ত বা ভর্টেক্স এই ভর্টেক্স থেকেই তৈরি হয় শুষ্ক আবহাওয়ায় ডাস্ট ডেভিল। ১১ মে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যায় ৩৮-৪০°সে এর আশপাশে। শুষ্ক উত্তর পশ্চিমা বাতাস ও সামুদ্রিক আদ্র বাতাসের সম্মিলন ছিল। প্রচণ্ড রোদের তেজ ছিল যা ক্ষুদ্র অঞ্চলে ডাস্ট ডেভিল তৈরির অনুকূল আবহাওয়া। কখনো কখনো একটি ডাস্ট ডেভিলের পাশাপাশি একাধিক ডাস্ট ডেভিল তৈরি হয়ে থাকে। এই ডাস্টডেভিল আগামী দিনে ভয়াবহ ধরনের টর্নেডো সৃষ্টি করতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। ডাস্ট ডেভিল আগামী দিনে আরো তৈরি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সুতরাং খুব একটা ভালো লক্ষণ নয় ডাস্টডেভিল যা টর্নেডোর অনুকূল শর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। তাপপ্রবাহ শেষ হয়ে যখন ঝড়বৃষ্টি আসবে তখনই টর্নেডো সৃষ্টি হতে পারে।
No comments:
Post a Comment