১৪ এপ্রিল ২০২৩
নিজস্ব সংবাদদাতা: হাওড়া ও হুগলি জেলার তাপপ্রবাহ হতে চলেছে লাগামছাড়া। কোথায় এর শেষ কবে শুরু হবে স্বাভাবিক ঝড়বৃষ্টি তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন শুষ্ক উত্তর পশ্চিমা বাতাস প্রবেশ করে আরো বাড়বে গরমের দাপট। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। হাওড়া ও হুগলি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়েছে ৪০°সে এর গণ্ডি। ২৪ ঘন্টায় তা ৪২°সে বা তার উপরে উঠে যেতে পারে। নববর্ষের দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল ২০২৩ উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বেলা থেকে দুপুরের মধ্যে বয়ে যাবে অতি ভয়াবহ লু বাতাস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪৩°সে এর গণ্ডি হাওড়া ও হুগলি জেলার বেশ কিছু যায়গায়। ১৬ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একনাগাড়ে ভয়াবহ দাবদাহের সতর্কতা। এই দাবদাহ পরবর্তী পর্যায়ে আরো বিস্তৃত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দাবদাহের শেষ কোথায়, কবে হবে বৃষ্টি এর উত্তর জানা নেই। তবে হাওড়া হুগলি জেলা যে ভয়াবহ দাবদাহে জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হবে তার সন্দেহের অবকাশ নেই। হাওড়া হুগলি জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫°সে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী দিনে। সবচেয়ে লোভনীয় পরিস্থিতি হবে হাওড়া ও হুগলি জেলার বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর লাগোয়া এলাকায়। গোঘাট, আরামবাগ পুরশুরা তারকেশ্বর খানাকুল অন্যদিকে হাওড়া জেলার আমতা উদয়নারায়নপুর জগৎবল্লভপুর ভয়াবহ দাবদাহের কবলে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে। ওই সমস্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে ৪১ থেকে ৪৭°সে এর মধ্যে। অন্যদিকে হাওড়া জেলার বাকি অঞ্চল সমগ্র হুগলি জেলা জুড়ে অতি ভয়াবহ ধরনের তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হতে পারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ও দুপুরের দিকে বয়ে যাবে লু হাওয়া। কি এই লু বাতাস? লু হলো খুব শুষ্ক উত্তর পশ্চিমা বাতাসের স্রোত যা ভীষণ গরম হয়ে থাকে। শুষ্ক ও অস্বাভাবিক গরম হওয়ার জন্য গায়ে লাগলে শরীরের জল শুষে নিয়ে শরীরকে অসুস্থ করে দেয়। আগুনের হলকার মতো লাগে লু বাতাস। সমস্ত হাওড়া ও হুগলি জেলার সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। প্রচুর পরিমাণে জল খান। শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা কারী খাবার যেমন লাউ কুমড়া শশা তরমুজ খরবুজ আখের রস খান। একাধিক বার ঠাণ্ডা জলে স্নান করুন। রোদে ছাতা টুপি ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment