নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী ৭২ ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু যায়গায় দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং কোচবিহার দিনাজপুর আলিপুরদুয়ার জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু যায়গায়। তবে দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৭২ ঘন্টায় উল্লেখযোগ্য ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আদ্র ও অসস্তিকর ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা হবে। বাংলাদেশের সিলেট ময়মনসিংহ ঢাকা রঙপুর সহ বেশ কিছু যায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব দিকে সরে আসছে এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হচ্ছে যার প্রভাবে সামুদ্রিক উচ্চচাপ বলয়ের আদ্র সামুদ্রিক বাতাস ঝাড়খণ্ডের দিকে না গিয়ে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারতে এবং উত্তরবঙ্গের দিকে। যারজন্য উত্তর পূর্ব ভারতে আগামী ৭২ ঘন্টায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ব্যাপক বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ , বাংলাদেশের কিছু কিছু যায়গায় কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দাবদাহ গরম ও অসস্তি বেশি থাকবে। যদি সাগরের উচ্চচাপ বলয়ের সামুদ্রিক আদ্র বাতাস ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতো তখন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু যায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা থাকতো কিন্তু এক্ষেত্রে ঘূর্ণাবর্ত উত্তরবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপর তৈরি হবার জন্য পুরো মেঘবৃষ্টিটাকেই হাতিয়ে নেবে উত্তরবঙ্গ , বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারত। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গ ঘূর্ণাবর্তের পশ্চিম কোয়াড্রেন্টে থাকায় এবং পশ্চিম কোয়াড্রেন্টে যে বাতাস তা শুষ্ক পশ্চিমা বাতাস হবার কারণে দক্ষিণবঙ্গে উল্লেখযোগ্য ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনো আগামী ৭২ ঘন্টায় পাওয়া যাচ্ছে না। হাওড়া কলকাতা আগামী ৭২ ঘন্টায় ঝড়বৃষ্টি থেকে বঞ্চিত থাকছে। দাবদাহ ও তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে দক্ষিণবঙ্গে। ঘর্মাক্ত ও অসস্তিকর ভ্যাপসা গরম অনুভব হবে। অনেকেই বলছেন আশার কথা শোনাবার জন্য কিন্তু আশা দেওয়ার মতো দক্ষিণবঙ্গে সেরকম কিছু খবর না থাকলে কি করে আশার বাণী দেবো। দক্ষিণবঙ্গে যদিও ঝড়বৃষ্টি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে দু একটা জায়গায় সাময়িক সময়ের জন্য হবে তাতে গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি ঘূর্ণাবর্ত ঝাড়খণ্ড লাগোয়া তৈরি হতো তাহলে দক্ষিণবঙ্গবাসী ভালো ঝড়বৃষ্টি পেতো। কিন্তু এক্ষেত্রে ঝড়বৃষ্টি পুরোটাই নিয়ে নেবে উত্তরবঙ্গ বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারত। তাই দক্ষিণবঙ্গ ওই মাঝেমধ্যে একটু দখিনা বাতাস জোর পেলে উন্মুক্ত স্থানে একটু মনোরম আমেজ ছাড়া আর তেমন কিছু পাবেনা। বেশিরভাগ সময় জুড়ে ঘর্মাক্ত আদ্র ও অসস্তিকর ভ্যাপসা গরম অনুভব হবে। আগামী ৭২ ঘন্টায় বেলা ও দুপুরের দিকে দাবদাহ বয়ে যাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু যায়গায়।
ভালো করে উপরের চিত্র দেখলেই বোঝা যাবে কলকাতা হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গে কেন উল্লেখযোগ্য ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে বিহার থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে সিলেট পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের উপর ঘূর্ণাবর্ত এমন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে পুরোপুরি ঝাড়খণ্ড বিহার থেকে শুষ্ক উত্তর পশ্চিমা বাতাসকে নিয়ে আসছে দক্ষিণবঙ্গে অন্যদিকে জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে ঠিকই কিন্তু তাকে বাংলাদেশ দিয়ে নিজের কেন্দ্রের দিকে টানছে ঘূর্ণাবর্ত। যারজন্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গ, উত্তর পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে আগামী ৭২ ঘন্টায়। উল্লেখযোগ্য ঝড়বৃষ্টি থেকে বঞ্চিত থাকবে দক্ষিণবঙ্গ।
১৯ এপ্রিল ২০২৩
No comments:
Post a Comment