নিজস্ব সংবাদদাতা: ভীষণ ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরমের মাঝেই আসতে চলেছে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এক বিরতি সহ প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি বলয় রুদ্র। সবসময় ঝড়বৃষ্টি হবেনা তবে যেটুকু সময় ও যে যায়গা গুলোতে হবে পুরো ধামাকাদার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হবে। এই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি বলয় এতটাই আক্রান্ত স্থানে সংক্ষিপ্ত সময়ে দুর্যোগ তৈরি করবে যাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজিত দেবতা শিবের রুদ্র রূপের সঙ্গে তুলনা করে ওয়েদার অফ ওয়েস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে বিশেষ নামকরণ করা হয়েছে রুদ্র। সব ঝড়বৃষ্টি বলয়ের নাম না দিলেও যে সমস্ত ঝড়বৃষ্টি বলয় দুর্যোগ সৃষ্টি করে সেগুলোর বিশেষ নামকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের প্রকৃতি ও ধরন সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করা যায়। তীব্র বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি বলয় রুদ্রের ক্ষেত্রে এক নাগাড়ে ঝড়বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা কম বরং বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। বজ্রগর্ভ মেঘসঞ্চারের প্রকৃতির উপর দুর্যোগের তীব্রতা নির্ভর করবে। সাধারণত যে যে অঞ্চলগুলোতে বজ্রগর্ভ মেঘসঞ্চার হবে বা বজ্রগর্ভ মেঘের আওতাভুক্ত হবে সেখানে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিতে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতি ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশিও হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে। সেই সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি, বিক্ষিপ্ত ভাবে শিলাবৃষ্টি ও ভয়াবহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রগর্ভ মেঘকোষ থেকে মুহুর্মুহু বজ্রপাত হতে দেখা যাবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পর সাময়িক ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘসঞ্চার যে অঞ্চলে হয়েছিল সেই অঞ্চল সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাবে। আবার এই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি বলয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো একবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পর আবার কোনো একটি অঞ্চল পুনরায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির অন্তর্গত হতে পারে। তবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টিতে বিরতি দেখা যাবে। বৃষ্টি বিরতি চলাকালীন আকাশে রোদের উপস্থিতি দেখা যাবে তীব্র ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরম অনুভব হবে এবং পুনরায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। বিশেষত দুপুর থেকে রাতের মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে তীব্র বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি বলয় রুদ্রে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে নিম্নচাপ অক্ষরেখা সৃষ্টি হবার জন্য ও পাশাপাশি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করার জন্য সমুদ্র থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প পূর্ণ আদ্র বাতাস প্রবেশ করবে পূর্ব মধ্য ভারত ও বাংলাদেশের উপর। যার জন্য মাঝেমধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে। হাওড়া হুগলি কলকাতা নদীয়া ২৪ পরগণা বর্ধমান মুর্শিদাবাদ বাঁকুড়া মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম বীরভূম সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত থেকে দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির বিরতি চলাকালীন প্রচণ্ড ঘর্মাক্ত ও অসস্তিকর ভ্যাপসা গরম অনুভব হবে। এতটাই ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হবে ঘেমে নেয়ে একাকার হবে দক্ষিণবঙ্গ। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি কালিম্পং কোচবিহার দিনাজপুর মালদা আলিপুরদুয়ার দার্জিলিং জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র বজ্রবিদ্যুৎ, ঝড় ও বিক্ষিপ্ত ভাবে প্রবল বৃষ্টি দেখা যাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। ২৩ থেকে ২৭শে মে ২০২৩ পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত থেকে দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের খুলনা রাজশাহী ঢাকা সিলেট ময়মনসিংহ রঙপুর সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু যায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন্টায় ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সতর্কতা দেওয়া হলো। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বা তার বেশিও হতে পারে।
২২শে মে ২০২৩
No comments:
Post a Comment